কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে প্রাণ বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয়রা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের বেশ কিছু পড়ুয়া। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সমস্ত কিছু গুছিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে সুযোগ পেলেই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে দূতাবাস জানিয়ে রেখেছে।
ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পার্বতীচন্দ্র ঘোষ ও সঙ্গীতা ঘোষের একমাত্র ছেলে পিয়াস। পিয়াস ডাক্তারি পড়তে গত ২৫ জানুয়ারি ইউক্রেনে যান। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে ঘোষ পরিবারের। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। ইউক্রেন থেকে ফোনে পিয়াস জানান, চারিদিকে বোমা-গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বাড়ি ফিরতে চান তিনি। তবে বিমান ভাড়া নেই তাঁর কাছে। এমনকী ইউক্রেনে বিমান পরিষেবাও বন্ধ।
অন্যদিকে, ডাক্তারি পড়তে গিয়ে সেদেশে আটকে পড়েছেন আরামবাগের এক নম্বর ওয়ার্ডের বৃন্দাবনপুর এলাকার দেবার্ঘ্য পোড়ে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ইউক্রেনের লভিভ শহরে ডাক্তারি পড়তে যান দেবার্ঘ্য। বাড়ি ফেরার কথা ছিল ৩ মার্চ। কিন্তু তার আগেই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ বেধে যাওয়ায় বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দেবার্ঘ্যর। তাই ভারত সরকারের কাছে পরিবারের আবেদন সরকার যেন ছেলের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে। বাবা আশিস পোড়ে সাধারণ এক আলু ব্যবসায়ী। অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা জোগাড় করে ছেলেকে ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনে পাঠায় পরিবার। বাড়ির একমাত্র ছেলের জন্য ভীষণ উদ্বেগে আছেন তাঁরা। শুক্রবার ভোরে ছেলের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। আপাতত ঠিক আছেন দেবার্ঘ্য বলে জানান তাঁরা। জল ও খাবারের সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Leopard Attack: ধূপগুড়িতে ঘরে চিতাবাঘ, তাড়া খেয়ে কাঁঠাল গাছে আশ্রয়
দেবার্ঘ্য জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাস থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সমস্ত কিছুই গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। যেকোনও সময়েই তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে।