নয়াদিল্লি: দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত শরজিল ইমামের (Sharjeel Imam) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, ইউএপিএ (UAPA) এবং অন্যান্য ধারায় চার্জ গঠন করল রাজধানীর একটি আদালত। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শরজিলের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লির জামিয়া ক্যাম্পাসে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি। শরজিলের জামিয়ার ভাষণ সাম্প্রদায়িক ঐক্য দুর্বল করে দিতে পারে আগে জানিয়েছিলেন বিচারক।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিতাভ রাওয়াত ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধি করা), ১৫৩বি, ৫০৫ ধারা এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) ১৩ ধারায় (বেআইনি কার্যকলাপের জন্য শাস্তি) চার্জ গঠন করেছেন।
শরজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ- রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্মীয়-জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো, শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গে উস্কানি দেওয়া এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। উত্তর-পূর্ব দিল্লি দাঙ্গার ঘটনায় ইউএপিএ মামলা সহ শরজিল ইমামের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কয়েকটি মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর আইনজীবী একাধিকবার দাবি করেছেন, হিংসায় মদত দেওয়া বা সমাজের কোনও ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্য ছিল না শরজিলের।
আরও পড়ুন: সোনিয়া-মনমোহন থেকে সচিন-হার্দিক, উত্তরপ্রদেশ ভোটের প্রচারে
১৬ জানুয়ারি, ২০২০ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতার জেরে শরজিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় দিল্লি, মণিপুর, অসম ও অরুণাচলপ্রদেশে। অসম ও অরুণাচলের মামলায় জামিন পেয়েছেন জেএনইউয়ের পড়ুয়া। শরজিলের গ্রেফতারির পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, কানহাইয়া কুমার দেশ সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক শরজিল ইমামের বক্তব্য।