রানাঘাট: আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের বেরকামগাছির ঘটনা। গত ৭ ডিসেম্বর আত্মঘাতী হন কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের অ্যাম্বুলেন্স চালক বছর ঊনপঞ্চাশের উত্তম বিশ্বাস। অভিযোগ, উত্তম বিশ্বাসকে পঞ্চায়েতের পাওনা টাকার জন্য প্রচণ্ড চাপ দেন পাহাড়পুর পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাসঘোষের স্বামী যুব তৃণমূল নেতা জানকীকান্ত দাস। সুইসাইড নোটে জানকীকান্ত দাসের নাম লিখে যান উত্তম বিশ্বাস৷ তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর অঞ্চলের বেরকামগাছির নিজের বাড়িতে গত ৭ ডিসেম্বর উত্তম বিশ্বাস ঘাস মারার বিষ খান৷ এরপর উত্তমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। উত্তমের মৃত্যু ঘিরে পরিবার অভিযোগের আঙুল তুলছে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তাহেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উত্তম বিশ্বাসের ভাই প্রদীপ বিশ্বাস। গত ৯ ডিসেম্বর অভিযোগের পর তদন্ত নেমেছে তাহেরপুর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-জলপাইগুড়িতে প্যাঙ্গোলিনের চামড়া উদ্ধার, ধৃত ২
তবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাসঘোষ ও যুব তৃণমূল নেতা জানকীকান্ত দাস। পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাসঘোষ এবং তাঁর স্বামী রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জানকীকান্ত দাসের বক্তব্য, ষড়যন্ত্র করে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।