ভিলনিয়াস: রাত পোহালেই লিথুয়ানিয়ার (Lithuania) রাজধানী ভিলনিয়াসে ন্যাটোর (NATO) সামিট। আগেরদিনই ন্যাটোর সেক্রেটারি-জেনারেল জেন্স স্টোলটেনবার্গ (Jens Stoltenberg) জানিয়ে দিলেন, ন্যাটোর সামরিক জোটে সুইডেনের (Sweden) অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করেছেন তুরস্কের (Turkey) প্রেসিডেন্ট তাইপ এর্দোগান (Tayyip Erdogan)। এক বিবৃতিতে ন্যাটো আধিকারিক বলেন, “আমি এটা জানাতে পেরে অত্যন্ত খুশি যে সুইডেনের যোগদানের নথিপত্র গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাঠাতে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট এর্দোগান এবং অনুমোদন দিতে অ্যাসেম্বলিতে তৎপর হবেন।”
তবে তুরস্কের সংসদ অর্থাৎ গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ঠিক কবে অনুমোদন দেওয়া হবে তার দিনক্ষণ জানাননি স্টোলটেনবার্গ।
গত বছর ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছিল সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড (Finland)। ঠান্ডা যুদ্ধের দশকগুলোতে তারা সেনা জোটের নীতির পরিপন্থী ছিল। কিন্তু রাশিয়ার (Russia) ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণের পর বেগতিক দেখে সেই নীতি থেকে সরে আসে দুই দেশ, আবেদন করে ন্যাটোর অংশ হতে চেয়ে।
আরও পড়ুন: Ecuador| ইকুয়েডরে বিনা বিচারে জেল বন্দির সংখ্যা বাড়ছে
ন্যাটোর অন্তর্ভুক্তি পেতে হলে সবক’টি সদস্য দেশের সম্মতি বাধ্যতামূলক। গত এপ্রিলে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছিল ফিনল্যান্ড কিন্তু তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি সুইডেনের আবেদন নিয়ে টালবাহানা করছিল। ভিলনিয়াসে ন্যাটোর সামিতের আগে ছাড়পত্র পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে স্টকহোম (Stockholm)। তুরস্ককে রাজি করাতে আমেরিকা (US) এবং তার সহযোগীদের সাহায্য নিয়েছে তারা।
এর্দোগান বলেছিলেন, সুইডেন জঙ্গি সংগঠনগুলোকে আশ্রয় দেয়, বিশেষ করে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্যদের। তুরস্ক প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, এই সংগঠন জঙ্গিদের আর্থিক সংস্থান করে। একই সঙ্গে সুইডেনে তুরস্ক-বিরোধী প্রতিবাদও সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এরপি মাঝে সুইডেন জানিয়েছে, গত বছর তুরস্কের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত দাবি পূরণ করেছে তারা। যেমন আনা হয়েছে এক বিল যা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হওয়াকে বেআইনি সাব্যস্ত করেছে। সুইডেনের জন্য আরও সুখবর, হাঙ্গেরির (Hungary) প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানের চিফ অফ স্টাফ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সুইডেনের অনুমোদনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বুদাপেস্ট (Budapest)।