নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের মন্তব্যে কূটনেতিক মহলে এহেন জল্পনা অনেকটাই দানা পাকিয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর, সোমবার থেকে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু হচ্ছে জি-২০ গোষ্ঠীর আওতাভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইতিমধ্যেই সেই আগ্রহের বিষয়টি মার্কিন বিদেশ দফতরের আধিকারিকদের জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে এই সংক্রান্ত খবরে মান্যতা দিয়েছেন জেক সুলিভান (Jake Sullivan)।
অবশ্য আদৌ ওই বৈঠক হবে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সম্ভাব্য বৈঠকের ব্যাপারে নয়াদিল্লিও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে (G-20 Summit) যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বাইডেন। সেই আবহে এবার মোদী-বাইডেনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনায় যথেষ্ট সতর্কভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে পদক্ষেপ ফেলতে চায় বেজিং। কারণ মোদি এবং বাইডেনের বৈঠকের সম্ভাবনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, বাইডেন-জিনপিং বৈঠক হলে সেখানে তাইওয়ান (Taiwan) প্রসঙ্গ উঠতে পারে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে সঙ্গে রেখে পদক্ষেপ করতে চায় হোয়াইট হাউস। সেই কারণেই মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে এই রকম আগ্রহ দেখানো হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। লাদাখ (Ladakh) ইস্যুতে খানিকটা চিন্তিত নয়াদিল্লি সে বৈঠকের ব্যাপারে তাই সমান আগ্রহ দেখাতে পারে।
জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির পরবর্তী সম্মেলন হবে আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে ভারতে। সেই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) যোগ দেবেন ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। আন্তর্জাতির সম্পর্কের বিশেষজ্ঞদের মতে বার্তা স্পষ্ট, হিসেব কষেই করমর্দনের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন জো বাইডেন।