মস্কো: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) মুখোমুখি হতে চলেছেন। ইংরেজি নববর্ষের আগেই কথা বলবেন দুজনে, একথা রাশিয়ার (Russia) রাষ্ট্র-সমর্থিত সংবাদমাধ্যম টাস (TASS)। যদিও দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনার সময় নির্ঘণ্ট বা ফর্ম্যাট কিছুই এখনও জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্রেমলিনের (Kremlin) মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, বিশদ বিবরণ শিগগিরই জানানো হবে।
ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণের নির্দেশ পুতিন দিয়েছিলেন ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তার ঠিক তিন সপ্তাহ আগে বেজিং সফরে গিয়েছিলেন তিনি। বৈঠকের পর পুতিন এবং জিনপিং দুই দেশের মধ্যে ‘সীমাহীন’ পার্টনারশিপের কথা বলেন।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে বেজায় খাপ্পা পশ্চিমি দুনিয়া। পুতিনের দেশের উপর একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। এর মধ্যে চীনের (China) সঙ্গে তাদের মাখামাখি অন্যরকম তাৎপর্য বহন করছে। ইউক্রেন আক্রমণ সমর্থন করছে চীন, এমন একটা হাওয়া উঠেছিল। কারণ অনেকদিন ধরেই তাইওয়ান (Taiwan) দখল করতে চায় তারা। এমতাবস্থায় রাশিয়ার আগ্রাসন কিংবা তালিবানের আফগানিস্তান দখল নিয়ে নিশ্চয়ই বিরোধিতা করবে না তারা।
যদিও পুতিন জনসমক্ষে বলেছিলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। তা অবশ্য পশ্চিমি দুনিয়ার খুব একটা বিশ্বাস হয়নি। গত সপ্তাহেই প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট তথা বর্তমানে পুতিনের নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বেজিং গিয়েছিলেন গত সপ্তাহেই, দেখা করেছিলেন জিনপিংয়ের সঙ্গে। চীনা সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, জিনপিং তাঁকে বলেন, ইউক্রেন সমস্যায় সব পক্ষই যেন সংযম রক্ষা করে চলে।