কলকাতা: দেশের শেষ দোকান এটি। এই দোকানের পিছনেই শুরু হয়েছে অন্য দেশ। যা এই দোকানটিকে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত করে তুলেছে।
উত্তর নাকি দক্ষিণ, নাকি পূর্ব বা পশ্চিমের গ্রামের কথা বলা হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে ভারতের শেষ গ্রাম নামে যে গ্রামটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে সেটি উত্তরাখন্ডের মানা গ্রাম। স্থানীয় ভাষায় ‘মানা গাঁও’।
আরও পড়ুন: পুরুষরা মুখ দেখে ফেললেই নারীদের মূল্য নষ্ট! ‘উদ্ভট’ মন্তব্য তালিবান মুখপাত্রের
দেশজুড়ে কোটি কোটি ছোট বড় দোকান রয়েছে। কিন্তু যদি বলা হয় ভারতের শেষ দোকান কোনটি? প্রশ্নটা শুনে একটু অবাক হতেই পারেন । তারপর মনে হতে পারে সত্যিই তো ভারতের শেষ দোকান কোনটি? ভারতে কিন্তু একেবারে ‘শেষ দোকান’ রয়েছে।
দোকানটির নামও ‘হিন্দুস্তান কি অন্তিম দুকান’। দোকানটি একতলা। সিমেন্ট বাঁধানো। দোকানের মাথায় পতপত করে ওড়ে ভারতের পতাকা। এই দোকান আছে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের মানা গ্রামে।
এই দোকানটি ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থিত। এটি দেশের শেষ সীমানায় অবস্থিত গ্রামের এক প্রান্তে রয়েছে। তাই দোকানটি এমন নাম। জানা যায়, এর পর আর কোনো দোকান নেই।
এটি উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত। গ্রামের নাম মানা। মানা গ্রামের এই দোকানটি একটি বিখ্যাত সেলফি পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। কারণ প্রতিটি পর্যটক এই দোকানটির নাম শুনে মুগ্ধ হন এবং অবশ্যই এখানে চা এবং ম্যাগির খেয়ে সেলফি তোলেন। এই দোকানটি ২৫ বছর আগে চন্দর সিং বাডওয়াল খুলেছিলেন। কথিত আছে, এই মানা গ্রামের প্রাচীন নাম ছিল মণিভদ্রপুরম। জনশ্রুতি আছে, এই গ্রামের মধ্য দিয়ে পাণ্ডবরা স্বর্গে গিয়েছিলেন।
এর পিছনেই আছে একটি খাড়াই পাহাড়। গ্রামের চারধারেও পাহাড় আর জঙ্গল। এই দোকানের পিছনেই শুরু হয়েছে চিনের ভূখণ্ড। একদম ভারত চিন সীমানায় অবস্থিত দোকানটি তৈরি হয় ২৫ বছর আগে।
মানা গ্রাম। ভারত চিন সীমান্তে অবস্থিত এই গ্রাম । ৩১১৮ মিটার উচ্চতায় এই গ্রাম। কয়েক পা এগিয়ে গেলেই চিনের সীমানা শুরু।
গ্রামের বাসিন্দা চন্দেহ সিং বড়বাল ২৫ বছর আগে এই দোকান তৈরি করেন। তার পর থেকে এই জায়গা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। দেশের শেষ দোকানটি দেখা বা সেখানে খাওয়ার জন্য পর্যটকরা হাজির হন এখানে।