কলকাতা: দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে গেলে টয়ট্রেন (Toutrain), কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjungha) সঙ্গে অন্যতম আকর্ষণ দার্জিলিং চাও (Darjeeling Tea)। দার্জিলিংয়ে আসবেন আর চা খাবেন না, তা তো হয় না।
উইন্ডেরমেয়ার
উইন্ডেরমেয়ার হোটেলের আফটারনুন সেগমেন্টের চা চেখে দেখতে পারেন। যদি একটু বেশি খরচ করার মতো পকেট সঙ্গ দেয় তবে চলে যেতে পারেন এখানে। শুধু স্বাদে নয় এর প্রেজেন্টেশন এবং সঙ্গে পরিবেশিত কুকি আপনাকে চায়ের সম্পর্কে ধারণাই বদলে দেবে। দার্জিলিং অবজারভেটরি হলের কাছে অবস্থিত এটি যে কোনও কাউকে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে কলকাতা মেট্রোর ভাড়া?
গ্লেনারিজ
এখানকার চায়ের কথা না বললেই নয়। সেটি বিখ্যাত শতাব্দী প্রাচীন গ্লেনারিস বেকারি। এখানকার নানা রকম খাবার এবং বেকারি আইটেমের মাঝে আলাদা করে বলতেই হয় অথেন্টিক দার্জিলিং চায়ের সুস্বাদু রেঞ্জের জন্য। ব্রেকফাস্টের পর এক কাপ দার্জিলিং চা না খেলে আপনার খাওয়া সম্পূর্ণ হবে না। এখানেও নানা রকমের চা আপনাকে চায়ের স্বর্গে পৌঁছে দেবে এটুকু বলাই যায়।
হাউস অফ টি
এটি গুডরিক কোম্পানির একটি আউটলেট। দার্জিলিংয়ে অবস্থিত এই আউটলেটটি দার্জিলিং-চা এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঠিকানা। মার্গারেট হোপ চা বাগান, ক্যাসেলটন মাসকাটেলের সেকেন্ড ফ্ল্যাশ সহ বিভিন্ন বাগানের চায়ের সম্ভার তাদের মূল আকর্ষণ। এখানে বসেও আপনি কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন রকমের চা পান করে।
নাথমুলস
দার্জিলিং চৌরাস্তার মলে দাঁড়ালে বড় বড় হরফে বড় বড় সাইনবোর্ড চোখে পড়বে। টুক করে ঢুকে পড়লেই হল। এক কাপ সোনালী বা পোখরাজ রঙা চা নিয়ে বসে পড়ুন মৌতাতে।
হ্যাপি গোল্ডেন ক্যাফে
খুব ছোট্ট একটি ব্যক্তিগত টি স্টলটি হ্যাপি ভ্যালি চা বাগানে লেবং কার্ট রোডে অবস্থিত। চকবাজার এলাকায় এই ছোট দোকান হলেও অথেন্টিক চায়ের বড় বড় উদ্যোগকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে চা বিক্রি করে চলেছেন কুসুম নামের এক মহিলা। এই মহিলার পরিবার প্রত্যেকেই হ্যাপি ভ্যালি চা বাগানের কর্মী। তাঁরা এখান থেকে লন্ডনেও চা পাঠান। সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার লোকেরা তাদের চা খেয়ে ঠিকানা দিয়ে চলে যান। কুরিয়ারে চা পাঠিয়ে দিতে হয়। চায়ের সম্পর্কে তাদের জ্ঞানও অপার। চা খেতে খেতে চায়ের সম্পর্কে নানা রকম তথ্য জেনে নিতে পারবেন।