কলকাতা: কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষ৷ নিহত বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে আর জি কর হাসপাতালে৷ সেখান থেকে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় অর্জুনের৷ শনিবার সকালে আর জি কর থেকে দেহ গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে৷
আর জি কর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের এক বিশেষজ্ঞ এবং কল্যাণী এইমসের এক বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত৷ যাতে পরবর্তীতে কোনও প্রশ্ন উঠলে প্রমাণ হিসেবে ওই ভিডিয়োগ্রাফি পেশ করা যায়৷
অমিত শাহের সফর চলাকালীনই উদ্ধার হয় কাশীপুরে বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ৷ তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে রাজি নয় পরিবার৷ মৃতদেহ ঘিরে উঠেছে অনেক প্রশ্ন৷ অর্জুনের গলায় যে গেরুয়া গামছার ফাঁস লাগানো ছিল, সেটা ছেঁড়া, বেঁধে জোড়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সব দেখে মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এ ছাড়া খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কাশীপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিবিআইয়ের দাবি করেন৷
এই সব অভিযোগ মাঝেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি নেতার পরিবার। তাঁদের আবেদন ছিল, যাতে আর জি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত না করা হয়। পাশাপাশি ভিডিয়োগ্রাফি করার আর্জিও জানানো হয় পরিবারের তরফে। সেই দাবি মেনে কলকাতা হাইকোর্ট কমান্ড হাসপাতালেই অর্জুনের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের আরও নির্দেশ, গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। আরজি কর হাসপাতাল থেকে দেহ যাতে নিরাপদে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে।
মৃতের পরিবার যাতে উপযুক্ত নিরাপত্তা পায়, কলকাতার পুলিস কমিশনারকে তাও দেখতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। ওইদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং কেস ডায়রি আদালতে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের। ইতিমধ্য অর্জুনের বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাও করেছে কলকাতা পুলিস৷