অতিমারির আবহাওয়ায়
পার্লার ও সালোঁর রাস্তা ভুলে আজকাল অনেকেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সারছেন রূপচর্চা। একে
বাজেট ফ্রেন্ডলি তারওপর আবার কড়া রাসায়নিকের বদলে প্রাকৃতিক উপকরণ থাকায়
নিশ্চিন্তে ব্যবহারও করা যায়। তবে ঘরোয়া উপকরণে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একেবারে চোখ
বন্ধ করে ভরসা করলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। রইল সে রকমই কিছু প্রাকৃতিক উপকরণের
নাম যা বুঝে ব্যবহার না করলে উপকারের থেকে অপকার হবে বেশি। যেমন-
পাতিলেবু
রূপচর্চায় বহুল
ব্যবহৃত পাতিলেবু। ত্বক থেকে চুলের যন্ত স্ক্রাবার, ফেস মাস্ক বিভিন্ন ভাবে
ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি উপকারের থেকে পাতিলেবু ক্ষতি করে বেশি। লেবু
প্রচন্ড অ্যাসিডিক এবং এর ব্যবহারে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এমনকি ত্বকে
জ্বালাও হতে পারে।
চিনি
অনেকেই ফেস ও বডি
স্ক্রাবে চিনির ব্যবহার করেন। কিন্তু সাধারণত আমরা বাড়িতে যে চিনি ব্যবহারকরি তা
আকারে বেশ বড়। এগুলো দিয়ে মুখ ঘষলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। চামড়া ছড়ে যেতে পারে
কিংবা ত্বকে জ্বালা ধরতে পারে।
দারুচিনি
বাঙলীর হেঁশেলের
নিত্য প্রয়োজনীয় এই উপকরণটি খাওয়ার পক্ষে যতই ভাল হোক না কেন ত্বকের জন্য ততটা
নিরাপদ নয়। দারুচিনি ত্বকে লাগালে ডিসকালারেশন বা ইনফ্লেমেশন দু’টো-ই হতে পারে। তাই দারুচিনির বদলে হলুদে
ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার
ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে
পাতিলেবুর মতোই ভীষণ অ্যাসিডিক তাই ত্বকে লাগালে মুখ জ্বালা করতে পারে এমনকি ত্বক পুড়ে যেতে পারে।
নারকেল তেল
প্রাকৃতিক
ময়শ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেলের ব্যবহার সর্বজন বিদিত। অনেকেই ব্যবহার করে উপকার পান ঠিকই তবে ত্বকের
আর্দ্রতা বজায় রাখতে শুধুমাত্র নারকেল তেলের ব্যবহার যথেষ্ট নয়। আবার অন্যদিকে
নারকেল তেল আবার কমেডোজেনিক, মানে খুব সহজেই মুখের ত্বকের রোমকূপের মুখ বন্ধ করে
ব্রণর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই নারকেল তেল মাথায়, চুলে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায়
ব্যবহার করলেও মুখে ও গলায় ভুলেও মাখবেন না।
টুথপেস্ট
সোশাল মিডিয়ায়
প্রত্যেক দিনই নানা রকমের স্কিনকেয়ার হ্যাক্স দেখানো হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই উপকারের
থেকে অপকার করে বেশী। এই যেমন দেখুন ব্রণ, ফুঁসকুড়ি সারাতে টুথপেস্টের ব্যবহার।
কিংবা রঙ হালকা করতে বেকিং সোডার ব্যবহার। এই দুই ক্ষেত্রেই ত্বকে জ্বালা বা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
কাঁচা ডিম
ত্বকের পরিচর্যায়
এমন কোনও ফেস প্যাক ব্যবহার করেন যাতে কাঁচা ডিম দিতে হয় তাহলে মন দিয়ে পড়ুন, কাঁচা
ডিম ব্যবহার করলে স্যালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। যদিও সম্ভাবনা
অনেকটাই কম কিন্তু যদি হয় তাহলে ভীষণ ক্ষতিকারক।