নয়াদিল্লি: টেক-ফগ অ্যাপ নিয়ে এবার আসরে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi on Tek Fog)। রাহুলের নিশানায় বিজেপি'র আইটি সেল (BJP IT Cell)। 'দ্য ওয়্যার' টেক-ফগ অ্যাপ নিয়ে এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার। তথ্য-প্রমাণ পেশ করে দেখায় কী ভাবে টেক-ফগ নামের একটি গোপন অ্যাপের মাধ্যমে শাসক দল বিজেপির হয়ে প্রোপাগান্ডা এবং ঘৃণার রাজনীতি ছড়িয়ে থাকে।
আরও একটি অ্যাপ এই সময় খবরের শিরোনামে। বুল্লিবাই অ্যাপ। মুসলিম সংখ্যালঘু মহিলাদের টার্গেট করে, তাঁদের ছবি বিকৃত করে এই অ্যাপে আপলোড করা হত। অনলাইনে ওইসব মহিলাদের 'নিলামে' তোলা হত। গিটহাবে এই ভয়ানক অ্যাপ তৈরির মূল চক্রী পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে। নাম নীরজ বিষ্ণোই। বয়স মাত্র একুশ। এর আগে উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় আর এক অভিযুক্ত শ্বেতা সিংকে। শ্বেতার বয়স আঠারো।
রাহুল গান্ধীর টুইট এই দুই অ্যাপকে জড়িয়ে। বুল্লি বাই অ্যাপের অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই অল্পবয়সী। কেউ কেউ টিনএজার। এতো কম বয়সে কীভাবে এরা এ রকম জাতিগত ঘৃণার অপরাধে জড়িয়ে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। রাহুল গান্ধীর টুইটেও এই একই প্রশ্ন। লিখেছেন, 'দেশ প্রশ্ন করছে কেন এত ঘৃণা? এত কম বয়সে কেন এত বিদ্বেষ?' এর উত্তর দিয়েছেন রাহুল গান্ধী নিজেই।
আরও পড়ুন: Election Commission: ‘বাহুবলীরা’ কেন প্রার্থী? কারণ দেখাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে, নির্দেশ কমিশনের
রাহুল গান্ধীর দাবি, বিজেপি আসলে ঘৃণার কারখানা তৈরি করেছে। বুল্লি অ্যাপ কাণ্ডের ধৃতেরা যে কারখানার ফসল। রাহুলের দাবি, টেক-ফগ অ্যাপ ঘৃণার কারখানাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ‘দ্য ওয়্যার’ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের পোর্টালে এক্সক্লুসিভ একটি তদন্ত-রিপোর্ট প্রকাশ করে। অসংখ্য ছোট বড় তথ্য-প্রমাণ সামনে এনে দাবি করে টেক-ফগ এমন একটি অ্যাপ যা অনলাইনে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ ছড়িয়ে থাকে। হ্যাশট্যাগকে নিজেদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করে সোশাল মিডিয়ার ট্রেন্ড বদলে দিতে পারে। আর এ সবই করে থাকে শাসক দল বিজেপি'র রাজনৈতিক স্বার্থে। গেরুয়া শিবিরকে সুবিধা করে দিতে।