পুরুলিয়া:
ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় (Jhalda Congress Councillor Murder) মৃতের দাদাকে আটক করছে পুলিস।
প্রতিবেশীরা জানান, এবারের পুরভোটে তপনের ভাইপো দীপক তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে
লড়াই করেন। তা নিয়ে কাকা-ভাইপোর মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদ চলছিল অনেকদিন ধরেই। তদন্তে
নেমে দীপকের বাবা নরেনকে আটক করে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও বন্দুকের ম্যাগাজিনও
উদ্ধার করা হয়।
রবিবার বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে ঝালদা-বাগমুণ্ডি রোডের উপর গুলিবিদ্ধ হন
ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি
বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। মাথায় ও পেটে গুলি লাগে তাঁর।
রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে
পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলা জুড়ে ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে কংগ্রেস।
২০১৫
সালের পুরভোটে ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে জিতেছিলেন তপন কান্দু। লোকসভা নির্বাচনের আগে
বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। এবারের পুরসভা নির্বাচনে
কংগ্রেসের টিকিটেই ভোটে লড়েন। তাঁর স্ত্রী ঝালদা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে
কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়াই করে জয়ী হন।
ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে
তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে এসেছে ৫টি আসন। কংগ্রেস জিতেছে ৫টি আসন। আর বাকি ২টি আসনে
জয়ী হয়েছে নির্দল। ফলে ঝালদা পুরসভায় ‘ত্রিশঙ্কু’ পরিস্থিতির
তৈরি হয়েছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই ১ জন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে
তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয় ৬। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ার ফলে
তৃণমূলের পক্ষে এখনও বোর্ড গঠন করা সম্ভব হয়নি।