আলিপুরদুয়ার: গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে বেড়েছে ডুয়ার্সের প্রতিটি নদীর জলস্তর। আর তার জেরেই ভেসে গেল ফালাকাটা (Falakata) ব্লকের মুজনাই নদীর (Mujnai River) উপরে থাকা বাঁশের সাঁকো। এর ফলে নদী পেরিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন ফালাকাটা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে মুজনাই নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়। ভেসে যায় বাঁশের সাঁকোটি। ফলে ওই দুই পারের মধ্যে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকটা পথ ঘুরে তাঁদের যেতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাজে। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে ফালাকাটা পুরসভার উপ পুরপ্রধান জয়ন্ত অধিকারী জানিয়েছেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত কোলাঘাট স্ট্রং রুম চত্বর, সন্দেহভাজনদের ঘিরে বিক্ষোভ
বর্ষা শুরু হতে না হতেই ভেসে গেল ফালাকাটা ব্লকের চারটি বাঁশের সাঁকো। গঙ্গামণ্ডল ঘাট, সাধনের ঘাট, ছপরের ঘাট এবং মুজনাই নদীর উপর থাকা বাঁশের সাকো। নদীর দুই ধারে থাকা কয়েক হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকো ভেসে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন।
প্রসঙ্গত, মৌসম ভবনের অনুমান, আগামী দু-তিন দিনেই উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়বে বর্ষা (Monsoon)। এর আগে তিন দিন আগে আন্দামানে ঢুকেছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। বৃহস্পতিবার কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ৭ দিন আগে ঢুকে গেল বর্ষা। সাধারণত সেখানে বর্ষা ঢোকে ৫ জুন। সে দিক থেকে দেখলে ছদিন আগে অসম, মেঘালয়, মণিপুর, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচলে প্রবেশ বর্ষার। এরকম শেষ বার হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ মে। পাশপাশি উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির কমলা সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহান্তে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: