শিলিগুড়ি: মা-বাবার সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল ৬ বছরের ছোট্ট স্নেহা মণ্ডল। তবে তার আর বাড়ি ফেরা হলনা। ফিরতি ট্রেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে যে তার শেষ জার্নি হবে কে জানত ৷ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ছয় বছরের স্নেহা মণ্ডলের ৷ তবে হাসতাপাতালে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তার বাবা-মা ৷
সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নিজের বাড়ি মালদহ যাওয়ার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বাবা ও মায়ের সঙ্গে উঠেছিল স্নেহা, তবে মাঝপথেই ঘটে বিপত্তি। রাঙাপানির কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express Accident)। সেই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় এই পরিবার। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। দুর্ঘটনার পর থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল ছোট্ট স্নেহা। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের নামে শুধুই প্রচার হচ্ছে, আর কিছু না, রেলকে কটাক্ষ মমতার
জানা গিয়েছে, সোমবার গুরুতর অবস্থায় জেনারেল কামরা থেকে স্নেহাকে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। দ্রুত তাকে ভর্তি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তার দু’পায়ের হাড় সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পাশাপাশি জোর ধাক্কায় তার লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাতেই তার লিভার থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে অপারেশন করা হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না। দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ছোট্ট স্নেহার প্রাণ।
তার মা ছবি মন্ডল ও বাবা মহিলাল মন্ডল এখনও চিকিৎসাধীন আছেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। স্নেহার মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাহত হয়ে পড়েন তার কাকা শ্যামল মন্ডল। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে, জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে সকল দেহ আনা হয়েছিল তাঁদের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে ৷ আর একজনের শরীরে অংশ এসেছিল, তা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে ৷ অপারেশন চার জনের হয়েছিল ৷ এখনও তিন জন ট্রমাকেয়ারে ভর্তি রয়েছেন ৷ তাঁদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল ৷ কিন্তু অনেকের শরীর ভিতর থেকেও আঘাত পেয়েছে ৷ তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ৷
আরও খবর দেখুন