জলপাইগুড়ি: এবার ধূপগুড়ি মহাকুমা হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক রোগীর বিরুদ্ধে। তবে সেই রোগী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,তাঁর সঙ্গে চিকিৎসক দুর্ব্যবহার করেন এবং মোবাইল ফোন হাত থেকে কেড়ে আছাড় মেরে ভেঙে দেন। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। এই বিষয়ে নুরজাহান বেগম নামের ওই রোগী ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে চিকিৎসকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে তিনি হাসপাতালে বহির্বিভাগের চিকিৎসা করাতে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে গালাগাল করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী তাঁর হাতের মোবাইলে ফোন কেড়ে নিয়ে আছার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। রোগী এবং ডাক্তারের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বচসা। হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আরও পড়ুন: জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পার্থ, ইডির জবাব তলব আদালতের
ওই চিকিৎসকের পাল্টা অভিযোগ, বহির্বিভাগে অনেক রোগীর ভিড় ছিল। ওই মহিলা বারবার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন লাইন ঠেলে। সেই সময় ওনাকে লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করানোর কথাটা বললে উনি আঙুল উঁচিয়ে চড়াও হন। এমনকী হাত তুলে থাপ্পড় মারার চেষ্টা করেন। সেই চিকিৎসকের আরও অভিযোগ ওই মহিলা তাঁকে চামড়া গুটিয়ে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। যদিও এ বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঙ্কুর চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করেননি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, শুনেছি রোগী এবং চিকিৎসকের মধ্যে কিছু একটা কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: