বারাসত: রাতে নেশাগ্রস্ত হয়ে মেয়েদের হস্টেলের ঘরে ঢুকে অশালীন আচরণের অভিযোগ করার চারদিন পরও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ প্রশাসন। অভিযুক্ত নার্সিং কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধার্থ ঘোষ ছাত্রীদের কাছে ক্ষমাও চাননি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে সোমবার দুপুরে বারাসত ব্যারাকপুর রোডের দত্তপুকুর থানার রঙ্গপুর মোড়ে বিক্ষোভ অবরোধ করলেন পড়ুয়ারা। গত রবিবার রাতে একটি নার্সিং কলেজের মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে তাঁদের সঙ্গে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এরই প্রতিবাদে দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ এলাকার একটি নার্সিং কলেজে পড়ুয়ারা উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
নার্সিং কলেজের ছাত্রীদের অভিযোগ, গত রবিবার রাত ১১টা নাগাদ মেয়েদের হোস্টেলে আসেন কলেজটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ। ওই সময় তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ ছাত্রীদের। ওই ঘটনার দিন হোস্টেলের ঘরে ছাত্রীরা রাতের পোশাক পরে নিজেদের কাজ করছিলেন। হঠাৎ দরজায় কড়া না নেড়ে ঘরের ভিতরে ঢোকেন। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন ছাত্রীদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকী গায়ে হাত দিয়ে অশালীন আচরণও করেন।
আরও পড়ুন: আরজি করের অ্যাসিট্যান্ট সুপারকে তলব লালবাজারের
ছাত্রীদের দাবি, হঠাৎ সে সময় পরিচালন কমিটির আর এক সদস্য তথা সিদ্ধার্থর দিদি অর্পিতা মিত্র হাজির হন। ভাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সিদ্ধার্থ ওই সময় তাঁর দিদিকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ফের শুরু করেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, অশালীন আচরণ রাত ১১টায় শুরু হয় আর চলে প্রায় দেড়টা পর্যন্ত। কলেজটির পরিচালন কমিটির সদস্য অর্পিতা মিত্র বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কলেজটি নতুন হয়েছে হয়তো কোনও চক্রান্তের শিকার হয়ে ছাত্রীরা এমন অভিযোগ করছে। আমি একজন মহিলা হয়ে বলছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রীরা কেন তাহলে এমন গুরুতর অভিযোগ করছেন সে প্রশ্নের সঠিক উত্তর অবশ্য তিনি দিতে পারেননি। কলেজটির এক ছাত্রী বলেন, সিদ্ধার্থ স্যার কলেজ চত্বরে রাতে নেশার আসর বসান বন্ধুদের এনে। রবিবার উনি ঘরে ঢুকে খারাপ ব্যবহার করেছেন। আমাদের বাথরুমের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আমাদের মেয়েদের হস্টেলে কেন সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আর এক ছাত্রী বলেন, উনি মদ্যপ হয়ে এসে একটা রুমে বসে আমাদের বকেছেন তারপর অন্য একটা রুমে ঢুকে আমার সহপাঠীর শরীরে হাত দিয়েছেন। আমার হাত ধরে টেনেছেন। আমি জোর করে হাত না সরালে আমার কী হত জানি না। উনি আমাদের খুব কাছাকাছি এসে কথা বলছিলেন। আগেও এমন একবার হয়েছে, এবার একটু বেশি হয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: