পুরুলিয়া: সৌচকর্ম ও গরু চরানোর অজুহাতে সরকারি জমিতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার অভিযোগ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ১৩ জন মহিলাকে গ্রেফতার পুলিশের। গ্রামের মানুষের বাধা দেওয়ার পর জোরকদমে চলছে শিল্পতালুকের কাজ। সেখানেই ভিতরে পুলিশি ক্যাম্প করা হয়েছে। শিল্প তালুকের পাশেই রয়েছে অঘোরপুর গ্রাম। গত বছর সরকারি জমির উপর জয়পুর থানার অঘোরপুর গ্রামে ২২ একর জমিতে শিল্পতালুক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া নেয় রাজ্য। বরাত দেওয়া হয় জেলার এক ঠিকাদার সংস্থাকে। বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার দাবি, ২০২২সালে কাজ শুরু করার পর থেকেই শিল্প তালুকের সীমানা দেওয়ার সময় গ্রামবাসীরা কাজের বাধা দেন। মাঝে বেশ কিছদিন এই শিল্প তালুকের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রসাশনকে জানানোর পর গ্রামবাসীদের সঙ্গে জেলা প্রসাশনের কর্তারা কথাও বলেন। তাঁদের বেশ কিছু দাবি মেনেও নেয়। সেই মতো ৫ একর জমি ছেড়ে দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার জন্য। তারপরেও গ্রামবাসীরা কাজ শুরু করার পর বাধা দেয়।
তাঁদের দাবি, প্রকল্পস্থলে সৌচকর্ম করে সেখান গরু বাছুর চরানো হয়। কাজ শুরু করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। তারপর গত ৪ নভেম্বর প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা পরে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। তারপরেই সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও পুলিশকে মারধরে জন্য ১৩ জন মহিলা সহ তিন নাবালককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সদ্যোজাতের মৃত্যু, নার্স ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ
সম্পুর্ণ সরকারি জমিতে এই প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অথচ সেই কাজেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথড়িয়া বলেন, সিপিএমের শাসনকালে উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদের সেখানে যেতে দেয়নি। এখন চারিদিকে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। মানুষ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। সেই সময় অশান্তি করার জন্য ওই এলাকায় যাচ্ছে। সামনে লোকসভা ভোট তাই এসব করছে।
এদিকে বরাত পাওয়া সংস্থার দাবি, সরকারি জমিতে এই প্রকল্প হচ্ছে কাজ শুরু করার কথা ছিল ২০২২ সালে। গ্রামবাসীদের বাধায় কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই। পুনরায় কাজ শুরু হতেই গ্রামবাসীরা বাধা দেয়।