বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের মধ্যের অন্তর্দ্বন্দ্ব কি শেষ হতে চলেছে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে তৃণমূলের অন্দরে। অবশেষে আজই সেই বিতর্কের অবসান ঘটতে চলেছে বলা যেতে পারে। তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বীরভূম জেলা পরিষধের সভাধিপতি কাজল শেখ। এদিন বিকেলে যদি অনুব্রত বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসেন, তাহলে সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন কাজল, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত-কাজলের দ্বন্দ্ব আজকের নয়। জেলায় এই দুই নেতার মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর মাঝেমধ্যেই শিরোনামে উঠে এসেছে। গরুপাচার কাণ্ডে জেল যাত্রার পর বীরভূমে কোর কমিটি করে দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে জায়গা পান কাজল। এরপর জেলা সভাধিপতিও করা তাঁকে। যদিও কাজল বারবার দাবি করেছেন, অনুব্রত তাঁদের অভিভাবক। দলের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি কাজ করবেন। মঙ্গলবার কেষ্ট জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বোলপুরে আসতেই তাঁর অনুগামীরা চাঙ্গা হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে বোলপুরের তৃণমূলের কার্যালয়ে কোর কমিটির সদস্যদের ছবি সরিয়ে অনুব্রতর ছবি লাগানো হয়। শুরু হয় নতুন করে জল্পনা।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা, আশ্বাস বিডিওর
ওইদিন সন্ধ্যায় নানুরে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে নাম না করে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে হুঁশিয়ারি দেন কাজল। তিনি বলেন, পাঙ্গা নিতে এসো না, চুড়ি পরে বসে নেই। যেদিন গোটাবো, সেদিন গুটিয়ে দেব। আমি পঞ্চায়েত থেকে পার্সেন্টেজ নিতে আসিনি। নদীর বালি থেকেও পয়সা নিতে আসিনি। সব খেলায় খেলতে জানি। দাবা খেলতে জানি, হাডুডুও খেলতে জানি। তাঁর এই মন্তনব্যের পর নতুন করে অনুব্রত-কাজলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তবে শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যে জানিয়েছে দিয়েছে, আপাতত কোর কমিটি তৃণমূলের সংগঠন দখবে। তবে আজকের কাজলের সঙ্গে অনুব্রতর সাক্ষাৎ যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: