বসিরহাট: ফের বেআইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট পুরসভার (Basirhat Municipality) পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটির পূর্ব পাড়ায়। বেআইনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তসি বন্দ্যোপাধ্যায় (Basirhat South MLA Saptasi Banerjee), পুরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায় চৌধুরী সরকারি প্রতিনিধিরা। এরপরই পলাতক পুকুরের মালিক।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪ কাটা পুকুর গত চার বছর ধরে ধাপে ধাপে রাতের অন্ধকারে মাটি ও বালি ফেলে ভরাটের কাজ করছিল পুকুরের মালিক কাজলহাজরা। কেউ বুঝে উঠতে পারছিল না। পুরসভায় এই ঘটনার অভিযোগ করেন রানা দাস।অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তসি বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান। দেখা গিয়েছে, ১৪ কাটা পুকুরের প্রায় ৯০শতাংশ ভরাট হয়ে গিয়েছে। তারপর পৌর আইন অনুযায়ী জমির মালিককে ডাকলে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Kolkata Tram | ট্রাম চালানোর দাবিতে আন্দোলনে এসইউসি
জমির খতিয়ান দাগ নম্বর দেখে দেখা যায় এটা পুকুর বাস্তু জমি নয়। হাজরা পরিবারের সদস্য কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। বি এল আর ও খাতায় লিপিবদ্ধ রয়েছে পুকুর। তারপরে ধাপে ধাপে এই পুকুর ভরাট চলছিল ঘটনাস্থলে বিধায়ক সপ্তসি বন্দোপাধ্যায় চেয়ারম্যান অদিতি মিত্ররা চৌধুরী গিয়ে জেসিবি লাগিয়ে মাটি তোলার কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে পুরসভা প্রশাসনিক আধিকারিকরা যাওয়ার পর থেকেই জমির মালিক কাজল হাজরা বেপাত্তা। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে জমির মালিকের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পুকুর ভরতের অভিযোগ তুলেছেন পৌর নাগরিকরা। ইতিমধ্যে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জমির মালিকের বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে বি এল আরও ও বসিরহাট পুরসভা। কিছুদিন আগে বসিরহাট পৌরসভা রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে দিয়েছিলেন অবৈধভাবে পুকুর ও জলাশয় ভরাট পাশাপাশি বেআইনি নির্মাণ কেউ যদি করে তার আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেবে। বিধায়ক থেকে শুরু করে পুরসভা এই কথা মত এদিন সেই ছবি ধরা পরল বসিরহাটে।