কোচবিহার: সোমবার ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া বিজেপি কর্মীদের খোঁজখবর নিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এল কোচবিহারে। সোমবার মোট চার জনের এই প্রতিনিধি দল বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে কোচবিহার জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এসে পৌঁছন। এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘর ছাড়া, জেলা বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজেপি পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে পড়েন পুলিশের এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। যাঁকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেখানে।
বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটি টিম ও অগ্নিমিত্রা পাল ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মোবাইল ফোন আটক করে নেন। অভিযোগ, পুলিশ গোপন কথা ফাঁস করার জন্য এভাবে পাঠিয়েছেন। আক্রমণ করা হয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসিকে। যদিও পরবর্তী সেখান থেকে বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিতিতে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর জেলা কার্যালয় থেকে বেড়িয়ে চকচকায় এক বেসরকারি হাসপাতালে আহত বিজেপির কর্মীদের দেখতে যান বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে আহতদের এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন বিপ্লব কুমার দেব, রবি শংকর প্রসাদ, ব্রিজ লাল, কবিতা প্রতিদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, জেলা বিজেপির সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, মালতী রাভা রায়, নিখিল রঞ্জন দে, সুশিল বর্মন, নিশীথ প্রামাণিক সহ অনান্যরা।
আরও পড়ুন: মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, মমতা সরকারের গুন্ডারা মহিলাদের লাঞ্ছিত করছে। বিজেপি মহিলা প্রধানের শাড়ি ছিড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন। এটা কী হচ্ছে, আমরা জানতে চাই বিজেপির কর্মীদের জমির ফসল কেটে নেওয়া হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংবিধান তো আপনার রাজ্যে বিনাশ হচ্ছে। গ্রামে তাঁদের ঘরে যেতে পারছেন না। এসব বন্ধ করুন। আপনি জেতার নাটক করা বন্ধ করুন।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: