কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘোষণামতো রবিবার বিভিন্ন জেলায় গণতন্ত্র হত্যা দিবস (BJP Murder Of Democracy Day) পালন করল বিজেপি। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যের অন্তত দুশো জায়গায় এদিন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালিত হয়।
রবিবার দুপুর ১২ টায় নলহাটি থানায় ৫ দফা দাবি পেশ করেন নলহাটির বিজেপি কর্মীরা। এই বিক্ষোভ সমাবেশে শতাধিক বিজেপি কর্মী অংশগ্রহণ করেন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হারার পর এই প্রথম রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামল বিজেপি। মাঝে মাত্র আর এক বছর। তার পরেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই বিজেপি নতুন ভাবে উজ্জ্বীবিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে করতে এই ধরণের আন্দোলন কিছুটা অক্সিজেন দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ফিরহাদ হাকিমের বিভাজনকারী মন্তব্যের প্রতিবাদে এদিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হন ঝাড়গ্রামের বিজেপির নেতৃত্ব ও কর্মীরা। মন্ত্রীফিরহাদ হাকিমের কুশপুতুল দাহ করা হয়।
এদিন জগদ্দল থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ডেপুটেশনে অংশ নেন বিজেপি কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং, প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং সহ ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির পদাধিকারী ও অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, ২১ জুলাই আসলে যুব কংগ্রেসের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিনতাই করেছেন।
রানাঘাটের গাংনাপুরে বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল জ্বালিয়ে থানা ঘেরাও করেন। দলীয় কর্মীরা থানার ওসির অপসারণের দাবি জানান। দীর্ঘক্ষণ থানা ঘেরাও চলে।
বিরোধী নেতা এদিন এক্স হ্যান্ডেলে জানান, বিজেপি কর্মীরা অন্তত দুশো জায়গায় এদিন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করে। সনাতন হিন্দু ভাইয়েরা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টিকারী মন্তব্যের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নেমেছেন।
আরও পড়ুন: দলে শুদ্ধকরণের ডাক মমতা-অভিষেকের
গত ১৭ জুলাই বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বর্ধিত সভায় শুভেন্দু প্রস্তাব দেন, দল যেন ২১ জুলাই রাজ্য জুড়ে গণতন্ত্র্ হত্যা দিবস পালনের কর্মসূচি নেয়। সেদিনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, দল ২১ জুলাইতেই ওই দিবস পালন করবে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ২১ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত যে যেমন পারবে, কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
অন্য খবর দেখুন
