বসিরহাট: বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকুয়াদহ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। যে কোনও ধরনের অসুখে তাঁরা এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিষেবা নিতে আসেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসক নিয়মিত আসেন না। তার ফলে তাঁরা উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। অনেক রাস্তা অতিক্রম করে শিবহাটি গ্রামীণ হাসপাতাল বা বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়। অন্যদিকে এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই একটিও বেড।
এলাকাবাসীরা দাবি করছেন, দ্রুত যদি এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেড পরিষেবা চালু হয় তাহলে তাদের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ব্লকের অন্য হাসপাতলে যেতে হবে না। খুব সহজেই এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে পারবেন সীমান্তের বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চিন্ময় সরকার বলেন, “যেহেতু এই পঞ্চায়েত এলাকাতে রয়েছে ঘোজাডাঙার মতো একটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও স্থলবন্দর, তাই পথ দুর্ঘটনা সহ মাল লোডিং-আনলোডিং করতে গেলে শ্রমিক, খালাসি এমনকী চালকরা নানান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। এই হাসপাতালে শুধুমাত্র আউটডোর পরিষেবা চালু রয়েছে। যদি বেডের ব্যবস্থা করা যায় ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক এখানে নিয়োগ করা যায় সেই আবেদনই সরকারের কাছে রাখব।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় শনিবার রাজপথে তৃণমূল
বিষয়টি নিয়ে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফিমেল হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট মৌমিতা চৌধুরী বলেন, “শনি ও বৃহস্পতিবার বাদে অন্যান্য দিনগুলিতে চিকিৎসক আসেন। ডাক্তার কম রয়েছে তাই মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হন। এখানে এখনও বেডের পরিষেবা চালু হয়নি। চাইব দ্রুত বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এলাকাবাসীর দাবি, সন্ধে হতেই দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ে এবং এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেসব পুরনো ঘরগুলো আছে, সেই ঘরগুলো বেশিরভাগই পরিত্যক্ত ঘরে পরিণত হয়েছে। তার ভিতরে বিচালি, পাটকাঠি, সরষে গাছ রাখা হয়েছে। সীমান্তবর্তী ঘোজাডাঙা, পানিতর, নাকুয়াদহ, ইটিন্ডা, চৌরঙ্গী সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এই নাকোয়াদহ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল।
দেখুন অন্য খবর: