কলকাতা: গ্রুপ-সি (Group C) কাউন্সেলিংয়ে উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta Highcourt)। তাই আগামিকাল থেকেই শুরু হবে গ্রুপসি-র কাউন্সেলিংয়ের (Counselling) কাজ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানিয়েছেন, এই পর্যায়ে তিনি কোনও রকম অন্তর্বর্তী নিদেশ দিতে রাজি নন। বুধবার শুনানির পর রায়দান স্থগিত (Post Poned) রাখে আদালত।
স্কুলে-স্কুলে চাকরি যাওয়া ৭৮২ জন গ্রুপ-সি (Group C) শিক্ষাকর্মীর শূন্য পদে নতুন নিয়োগে আপাতত প্রথম দফায় মাত্র ১০০ জনের কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারা প্রার্থীরা। এদিন আদালতে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ,এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, চাকরিহারা লোকজন স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমোদন নিয়ে কাজে যোগদান করেছিলেন। তাই কাউন্সেলিংয়ের আগে এই তিন সংস্থার ভূমিকা যেন খতিয়ে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | আঞ্চলিক দলগুলিকে সংহত করার চেষ্টা করছেন মমতা, সফল হবে কি?
এদিন শুনানি পর্বে চাকরিহারা দের আইনজীবী বলেন, গেম ইজ অন (Game is On)। খেলা হবে। বিচারপতি অবশ্য বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। তিনি খেলা হবে শব্দ বন্ধটি প্রত্যাহার করে নিতে বলেন আইনজীবীকে। ওই আইনজীবী আদালতের পরামর্শ মেনেই ওই শব্দবন্ধ প্রত্যাহার করে নেয়
এদিন আদালতে গাজিয়াবাদের মুল্ল্যয়নকারী সংস্থা নাইসা (NYSA) ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। চাকরিহারাদের আইনজীবী বলেন, উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সড়ককার যেখানে এই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করে সেই সংস্থাকেই বরাত দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)কমিশনের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ওই একক সিদ্ধান্তে গাজিয়াবাদের ওই সংস্থাকে ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কমিশনের একাধিক অফিসার আদালতকে সেকথাই জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ ছিল, বিধাননগরে কমিশনের অফিসে সার্ভার রুমে সুবীরেশ ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। সিবিআই গাজিয়াবাদে গিয়ে তদন্ত করে নাইসার কারচুপি ধরে।
এদিকে কমিশন আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা ওএমআর পরীক্ষা করে বিকৃতি খুঁজে পেয়েছেন। তার পরেই সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি খুব খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগছে। খুব তাড়াতাড়ি মাথার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী। শুনানি শেষে এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।