বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুর লোকসভায় (Bishnupur Lok Sabha) সিপিএমের প্রচারে (CPM Campaign) নেই কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগেই মান-অভিমান দুই দলের। আমাদের তো মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না যে আমরা গলায় গামছা দিয়ে আমাদের আহ্বান না করলে আমরা চলে যাব সিপিএমকে কটাক্ষ কংগ্রেসের। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক নেই বললেই চলে পাল্টা সিপিআইএম প্রার্থীর।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সিপিএম এবং কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বরা। যে কারণেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম তাদের প্রার্থী দিলেও কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। সিপিআইএমের প্রার্থী হয়েছেন পেশায় শিক্ষক শীতল কৈবর্ত। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই সিপিএম প্রার্থী বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যে ভোট প্রচার শুরু করেছেন। কিন্তু বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় সিপিআইএমের ভোট প্রচারে এখনো দেখা মেলেনি কংগ্রেসের পতাকা উড়তে। কংগ্রেসের কোন নেতাকর্মীকে এখনো দেখা যায়নি। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে দুই দলের মান অভিমানের পালা চলছে।
আরও পড়ুন: ৫ কোটি টাকা চেয়ে উদয়নকে চিঠি কেএলও-র
প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক তথা বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের যে লড়াই দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে লড়াই সেই লড়াইতে বামফ্রন্ট এবং অন্যান্য দল আমরা রয়েছি। কিন্তু এখন জেলাস্তরে আসন সমঝোতাই বলুন বা জোট বলুন সেটা তো একতরফা হয় না। আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি হয়ে আছি সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু জেলাস্তরে যদি সিপিএম আমাদের আহ্বান না করে তাহলে কংগ্রেসের কর্মী যারা রয়েছেন নেতৃত্ব যারা রয়েছেন আমাদের তো আর মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না যে আমরা গলায় গামছা দিয়ে আমাদেরকে আহ্বান না করলে আমরা চলে যাব। আমাদের আহ্বান করলে আমরা অবশ্যই যাব।
কংগ্রেসের এই মান অভিমান নিয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী শীতল পরিবর্তন জানান এই বিষয়টা আমাদের জেলা নেতৃত্ব দেখেন। আমাদের জেলা নেতৃত্বের যেমন দায়িত্ব আছে কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বেরও একই দায়িত্ব রয়েছে পারস্পরিক যোগাযোগ করে আমরা যেখানে যেখানে প্রচারে যাচ্ছি তাদের উচিত কর্মী সমার্থক যা আছেন তাদেরকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত করা। তবে কংগ্রেস এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে দাবি সিপিআইএম প্রার্থীর। তবে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় কংগ্রেসের সংগঠন সেভাবে নেই, কর্মী সমর্থক নেই বললেই চলে। আলোচনা করেও কিছু হবে না। তবে বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হবে।
অন্য খবর দেখুন