বীরভূম: পাঙ্গা নিতে এসো না, চুড়ি পরে বসে নেই। যেদিন গোটাবো, সেদিন গুটিয়ে দেব। নাম না করে অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতা কাজল শেখের। বুধবার নানুর ব্লকের বাসাপাড়ায় তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে এমন হুমকির সুর শোনা গেল কাজলের মুখে। তিনি বলেন, আমি পঞ্চায়েত থেকে পার্সেন্টেজ নিতে আসিনি। নদীর বালি থেকেও পয়সা নিতে আসিনি। সব খেলায় খেলতে জানি। দাবা খেলতে জানি, হাডুডুও খেলতে জানি। পাঙ্গা নিতে এসো না, চুরি পরে বসে নাই, যেদিন গোটাবো, সেদিন গুটিয়ে দেবো।
প্রসঙ্গত, দুবছর পর মঙ্গলবার বোলপুরে ফিরেছেন কেষ্ট। অনুব্রতহীন বীরভূমে দলে ব্রাত্য কেষ্ট ঘনিষ্ঠ নানুরের তৃণমূল নেতা প্রাক্তন জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুলকরিম খান। অনুব্রত জেলে থাকতে প্রতিনিয়ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন কেরিম। আশায় ছিলেন, অনুব্রত বীরভূমে ফিরলে আবার দলে জায়গা পাবেন। সেই মতো অনুব্রত বীরভূমে ফেরার রাতেই নানুরের বাসাপাড়ায় কাজলের দায়িত্ব থাকা দলীয় কার্যালয়ে নিজেদের গোষ্ঠীর কর্মীকে নিয়ে ঢোকেন কেরিম।
আরও পড়ুন: রাতভোর তুমুল বর্ষণ, আজকেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
এরপরই কাজলের খেলা শুরু। গতকাল দলীয় বৈঠকে কাজল বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলায় একটাই দল তৃণমূল কংগ্রেস। কোনও গ্রুপ বাজি বরদাস্ত করব না। দড়ি ছেড়ে রেখেছি, যেদিন গোটাবো সেদিন গুটিয়ে দেব। অনেক ঘাটের জল আমার পেটে আছে। আমি সব খেলায় খেলতে জানি।। আমি দাবা খেলতেও জানি, হাডুডু খেলাও খেলতে জানি। খেলা হবে গান শুনিয়ে লাভ হবে না বন্ধু। আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম, তাই দাবার চাল চেলে বসে আছি। কাজলের এই মন্তব্যের পরই বীরভূমে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ব প্রকাশ্যে, যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: