বীরভূম: স্পিড বোটে ৮ জনের ধারণ ক্ষমতা। সেখানে চেপেছিল ১৪ জন। লাইফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় কেউই ছিলেন না। পরা উচিত ছিল। বড় ভুল করেছে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে দায় নিত কে? ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে জেলাশাসক, তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের স্পিড বোট দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক শিবিরের মধ্যে বিতর্ক।
কুঁয়ে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবন অবস্থা বীরভূমের লাভপুর ব্লক। বুধবার স্পিড বোটে জলপথে দূর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক, ২ তৃণমূল সাংসদ, লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক, ওসি সহ মোট ১৪ জন। এলাকা পরিদর্শন করে ফেরার পথে কুঁয়ে নদীতে উল্টে যাই স্পিড বোট।
নদীর জল তখন হু হু করে রকেট গতিতে বইছে। প্রায় একতাল গাছ গভীর জল। জেলাশাসক, দুই সাংসদ, এক বিধায়ক সহ মোট ১৪ জন জলের মধ্যে প্রাণপণ বাঁচার চেষ্টা করছেন। সূর্যের আলো ডুবে তখন প্রায়ই সন্ধ্যে। বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার। নদীতেই কেউ হয়তো বাঁশ ঝার ধরে আছে, তো আবার গাছের ডাল। চিৎকার শুনে উদ্ধার কাজে হাত লাগায় গ্রামবাসী ও পুলিশ কর্মীরা। রাতেই সকলকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সকলেই প্রতিক্রিয়া জানান, নতুন জীবন পেলাম।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীকে অপহরণ কাণ্ডে গ্রেফতার বারাসতের তৃণমূল কাউন্সিলর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে বৃহস্পতিবার লাভপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ২০০০ মানুষকে ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ, লাভপুরের তৃণমূল ব্লক নেতৃত্ব।
ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ মন্তব্য করেন, স্পিড বোটে ৮ জনের ধারণ ক্ষমতা, চেপেছিল ১৪ জন। লাইফ জ্যাকেট পরে ছিলেন না। পরা উচিত ছিলো। বড় ভুল করেছে। প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে দায় নিতো কে ? যাক সকলে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। কাজলের এই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে শাসক-শিবিরে বিতর্ক।