কলকাতা: সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করেছে আদালত। এর জেরে প্রায় ২৬ হাজার চাকির বাতিল হতে চলেছে। তবে এর মধ্যে অনেকেই ভোটকর্মী হিসেবে নিযুক্ত শিক্ষক রয়েছেন। যদিও চাকরি বাতিল হলেও, এঁদেরকে নিয়ে অসুবিধা হবে না বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ECI) মনে করছে, চাকরি যাওয়ার ফলে ওই শিক্ষকদের ভোটকর্মীর কাজ থেকে বাদ দেওয়া হলেও, ভোটে তার প্রভাব পড়বে না। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।
বুথে ভোটকর্মী হিসাবে শিক্ষকদের কাজে লাগায় কমিশন। বুথের ভিতরে তাঁরাই ভোট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। আগামী শুক্রবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটে চাকরিচ্যুত কোনও শিক্ষক ভোটকর্মী হিসাবে থাকলে কমিশনের পদক্ষেপ কী হবে? অথবা, চাকরি না থাকলে কোন পরিচয়ে তাঁরা ভোটকর্মী হিসাবে বিবেচিত হবেন? উঠছে নানান প্রশ্ন। রাজ্যের অতিরিক্ত সিইও অরিন্দম জানান, ভোটে এর প্রভাব পড়ার সুযোগ নেই। কারণ, ভোটে সব সময় ২০-২৫ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটকর্মী রাখা হয়। কোনও ভোটকর্মীর চাকরি চলে গেলে ওই দায়িত্বে অন্য কাউকে নিয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: ফের দাবদাহে জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গ, কলকাতায় আজ থেকে বাড়বে তাপমাত্রা
কমিশন সূত্রে খবর, দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য ভোটকর্মীদের নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বুধবারই অনেকে ভোটের কাজে রওনা হবেন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁদের বুথে পৌঁছনোর কথা। কমিশনের এক আধিকারিকের কথায়, এই অবস্থায় ভোটকর্মী পরিবর্তন বাড়তি ঝামেলার কাজ। কারণ, ওই সব প্রার্থীদের চিহ্নিত করার কাজ যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। চিহ্নিত করার পরে তাঁদের ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
দেখুন আরও অন্য়ান্য খবর: