বসিরহাট: রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসের নাম উঠে এসেছে। মঙ্গলবার রেশন দুর্নীতির তদন্তে রাজারহাটের বাড়ি সহ বারাসত, বসিরহাট মিলিয়ে ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (ED)। এর আগেও সোনা পাচার মামলায় তিনি গ্রেফতার হন। পণ্যবাহী ট্রাকের খালাসি থেকে ড্রাইবার ছিলেন বারিক। তারপর ধীরে ধীরে জ্য়োতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হন তিনি।
কে অই বারিক বিশ্বাস?
জানা গিয়েছে, প্রথম জীবনে পণ্য বাহী ট্রাকের গাড়ির খালাসি থেকে ড্রাইভার ছিলেন। তারপর বসিরহাটের স্বরূপনগরের বিথারি হাকিমপুর এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর হাত ধরে তাঁর ব্যবসায়ে হাতেখড়ি। তারপর বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান বারিক। ধীরে ধীরে ব্যবসায় উন্নতিও করতে থাকেন। এরপর ২০০০ সালে ব্যবসায়ে ক্ষতি হয়ে বহু টাকার দেনায় পড়ে য়ান বারিক। ২০০৪-০৫ সাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্নভাবে গরুপাচার শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ফের ইডির হানা, নজরে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ!
জানা যায়, এই ব্যবসায়ের মূল কান্ডারি ছিল এই বারিক বিশ্বাস। তারপর থেকে তাঁর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তারপর ২০২১ সালে ২৮ জানুয়ারি বারিক বিশ্বাসের এই বাড়িতে কয়লা কেলেঙ্কারি কাণ্ড নিয়ে সিবিআই তল্লাশি করতে আসে। ২০২৩ সালের প্রথমদিকে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন বারিক। বেশ কয়েক মাস ধরে কখনও জেল হেফাজাতে আবার কখনও পুলিশ হেফাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ বসিরহাটের সংগ্রামপুরের বাড়িতে আসে ইডি আধিকারিক সহ ব্যাঙ্ক কর্মী ও আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। তবে তাঁর রাইস মিলে এখও তল্লাশি চলছে। বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন, রেশন বণ্টন দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা সোনা এবং ইটভাটার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিল বারিক বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে বারিকের যোগাযোগ কতটা তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে এসেছে কি না, কালো টাকা সাদা করায় তাঁর ভূমিকা আছে কি না, এই সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বারিকের ব্যাঙ্কের নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: