নামখানা: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুন্দরবন উপকূলে শুরু দমকা হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলাজুড়ে বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট বেড়েছে। জেলার সুন্দরবন উপকূলে ঝড় ও বৃষ্টির পরিমান বেশি।
এদিন জেলাজুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। জারী করা হয়েছে লাল সতকর্তা। এদিন বেলা বাড়ার পর দুর্যোগ আরও বাড়বে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। আজ ও আগামীকাল জেলার সব ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত জেলার ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে আনা হয়েছে। বিশেষ করে সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা ও কাকদ্বীপ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দানা’র প্রভাব, ১৫ ঘণ্টা বিমান চলাচল বন্ধ কলকাতায়
সুন্দরবনের বিছিন্ন দ্বীপগুলির উপর বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখার জন্য উপকূলে ৩৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩টি দল, এসডিআরএফের ২টি দল জেলায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। ঝড়ের দাপটে গাছের ডাল ভাঙলে ৪৭০টি টিম প্রস্তুত আছে স্বয়ংক্রিয় করাত নিয়ে। সুন্দরবনের আসন্ন প্রসবা মহিলাদের তুলে আনা হয়েছে ব্লক হাসপাতাল গুলিতে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও সেচ দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন কাকদ্বীপে উপস্থিত থাকবেন। জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এদিন সন্ধে সাতটার পর নামখানা শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র ও সুন্দরবন ভ্রমণ আগামী দুদিন বন্ধ থাকবে।