মালদহ: পণের (Dowry) দাবিতে গৃহবধূর হাত পা বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক আড়োলপুর গ্রামে। ঘটনার পরই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগরের যোগীলাল গ্রামের বাসিন্দা আশিয়া খাতুনের বিয়ে হয় নতুন সাদলিচক গ্রামের বাসিন্দা আবুজার হোসেনের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের দুই বছর পর থেকেই পণের দাবিতে ওই বধূর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই ঘটনার কথা মাকে জানিয়েছিলেন আশিয়া। কিন্তু তাঁর বিধবা মায়ের পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তবুও মেয়ের সংসারের কথা ভেবে ধারদেনা করে কয়েকবার টাকা দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও দিনের পর দিন টাকা চেয়ে অত্যাচার চালাত।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে
ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশিয়ার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সকলকে নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভা হয়েছে। রবিবার তা মাত্রা ছাড়ায়। সেদিন রাতে আশিয়ার হাত পা বেঁধে প্রাণনাশের জন্য চাকু দিয়ে কোপাতে থাকে স্বামী ও দুই দেওর। আশিয়ার হাত ও পায়ের নার্ভ কেটে দেওয়া হয়। আশিয়া সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে রাতেই বাড়ির বাইরে ফেলে দিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেয়ের পরিবার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আশিয়াকে। বর্তমানে সেখানেই সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর পরিবার। অভিযোগ উঠেছে স্বামী আবুজার হোসেন, শাশুড়ি নুরেফা বিবি ও দুই দেওর উমর ফারুক ও বাদিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
দেখুন আরও অন্য খবর: