নন্দীগ্রাম- “অভিষেক (Abhishek Banerjee) নন্দীগ্রামে (Nandigram) দাঁড়ালে প্যান্ট খুলে পেটাব’ গণতান্ত্রিকভাবে প্যান্ট খোলা হবে! গো হারা হেরে বাড়ি যাবে’। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রদীপ পালের (Bjp Leader Pradip Paul) কুকথায় রাজনীতি মহলে বিতর্ক।
‘আসন্ন বিধানসভায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক! সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যই রাজনীতিতে বিতর্ক উসকে দেয়।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রাম বিধানসভা থেকে দাঁড়াবেন। আর তাই ডায়মন্ড হারবার থেকে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকদের পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছেন। সুকান্ত মজুমদারের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দল চাইলে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে পারি! তারপরেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়।
এই নিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি প্রলয় পাল বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। প্রলয় পাল বলেন ”আমরা তো সেই আশাতে আছি! বাংলা সিনেমায় দেখেন না, অভিনেতা জিৎ দৌড়াচ্ছে, তার পেছন পেছন গুণ্ডারা ধাওয়া করছে। আমরা চাই ও চলে আসুক এখানে, নন্দীগ্রামে এলে প্যান্ট খুলে পেটাবো, গোহারা হেরে বাড়ি যাবে। সে প্যান্ট খোলা নয়,গণতান্ত্রিকভাবে তার পিসি’ কে হারিয়ে মাথায় চুনকানি লেপে কালীঘাট পাঠিয়েছি। এখানে এলেও প্যান্ট খুলে কালীঘাট পাঠিয়ে দেব।
আরও পড়ুন- নবদ্বীপে উদ্ধার শতাধিক ভোটার কার্ড, শুরু রাজনৈতিক তরজা
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জি এই প্রলয় পালকেই ফোন করেন, যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। সেই প্রসঙ্গে টেনে প্রলয় পালের ইঙ্গিত উনি ভুল জায়গায় ফোন করেন। আমরা লোভ লালসার শিকার হই না। কিছুদিন পূর্বেই সুপ্রিম কোর্ট নন্দীগ্রামের ৪২ জন তৃণমূল নেতাকে শো কজ করে। তারপরেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী বিজেপি।
তবে অভিষেকের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি যদি অভিষেক প্রার্থী হয় তবে শুভেন্দু অধিকারীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। বিধানসভার বাকি এখনও বেশ কয়েক মাস। তবে বিধানসভা নির্বাচন যে নন্দীগ্রামে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ হতে চলেছে তাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দেখুন আরও খবর-







