পাঁশকুড়া: ওড়িশায় বাঙালিদের বাংলাদেশি রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে চলছে বেলাগাম অত্যাচার। আধার কার্ড ছিঁড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি নকল আধার কার্ড করে পাঠিয়েছে। কোনওক্রমে বাড়ি ফিরলেন কয়েকশ শ্রমিক। এবার বাংলা থেকে ওড়িশার বাসিন্দাদের ফেরানোর দাবি তাঁদের।
ওড়িশায় এ রাজ্যের শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বেলাগাম অত্যাচার চলছে। এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ৩০০-র বেশি শ্রমিক ও ব্যবসায়ী ওড়িশা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এরকম ওড়িশা ফেরত একদল শ্রমিক পাঁশকুড়া থানায় আজ ডেপুটেশন দেন। তাঁরা বিডিও অফিসে গিয়েও এ নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। বাংলা বাঁচাও কমিটি তৈরি করে ওড়িশা ফেরত ওই শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছেন। সেই দাবিতে তাঁরা পাঁশকুড়া বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেন। এ রাজ্যের শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল পুলিশ
পাঁশকুড়া থানার সাধুয়াপোতা গ্রামের আশাদুল শাহ, রাধাবল্লভচক গ্রামের শেখ সামাদ আলি এদিন পাঁশকুড়া থানায় ও বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেন । তাঁরা বলেন, আমরা ওড়িশায় ব্যবসা করতাম। কিন্তু, বাংলাদেশে ঝামেলার পর ওড়িশায় আমরা টার্গেট করা হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে সেখানে অত্যাচার করা হয়। আধার কার্ড দেখালে সেই আধার কার্ড জাল বলে ছিঁড়ে দেয়। এমনকী বলা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাল আধার কার্ড বানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশিু রোহিঙ্গা তকমা দাগিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। বাধ্য হয়ে ফিরে এসেছি। এখন আমরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চাইছি। আমরা যদি ওড়িশায় ফিরে যেতে না পারি তাহলে এরাজ্য থেকে ওড়িশার বাসিন্দাদের ফেরানো হোক।