বর্ধমান: বাংলায় ফের নির্বাচনী প্রচারে এসে কোনও রাখঢাক না করে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার বর্ধমানের নির্বাচনী সভায় (Burdwan Election Meeting) তিনি ঘোষণা করেন, যাঁরা যোগ্য হয়েও চাকরিহারা, তাঁদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি। মোদি বলেন, চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে অনেক যোগ্য ব্যক্তি চাকরি হারিয়েছেন। তাঁরা কী সমস্যায় আছে, তা আমি বুঝতে পারছি। তৃণমূলের পাপের কারণে নির্দোষরাও সমস্যায় পড়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁদের নথি ঠিক আ, লিগাল সেল গড়ে তাঁদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি। তাঁদের জন্য তৈরি করা হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও। যাঁরা সৎ, যাঁদের ডিগ্রি ঠিক আছে, তাঁদের সঙ্গে বিজেপি। ন্যায়বিচারের জন্য তাঁদের পাশে থাকবে বিজেপি।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Corruption case) গোটা প্যানেল বাতিল হয়েছে। তাতে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য, এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু শীর্য আদালতের রায়ে আদালতে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। চাকরিহারারা আন্দোলনের পথে নেমেছেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের তোলাবাজি আর চলতে দেব না, হুমকি মোদির
বর্ধমানের জনসভা থেকে যোগ্য চাকরিহারাদের হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মোদি। দুর্নীতির ইস্যুতে কড়া ভাষায় তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যেকটি প্রকল্পের টাকা নিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের তোলাবাজরা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে লাখ লাখ যুবক-যুবতীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে তৃণমূল। এদিন নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি। মোদি বলেন, তৃণমূলের নেতাদের বাড়ি থেকে এত টাকা পাওয়া যাচ্ছে, যা গুনতে গুনতে মেশিন ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তৃণমূলের শাসনে বাংলার হিন্দুরা দ্বিতীয় সারির নাগরিক হয়ে রয়েছে। বাংলায় হিন্দুদের এ কী হাল হয়েছে! প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল (Trinamool), সিপিএম (CPM) বা কংগ্রেস (Congress) কেউ দেশের উন্নয়নের জন্য ভোটে লড়ছে না। ওরা শুধু বিভাজন বোঝে।
দেখুন ভিডিও