আলিপুরদুয়ার : দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনার পর উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান ও অসম সীমান্ত এলাকায় জারি হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার রাত থেকেই সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে চলছে বাড়তি নাকা-চেকিং ও নজরদারি। বিশেষ করে জয়গাঁর জিএসটি মোড়, যা সীমান্ত সুরক্ষার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘কি-পয়েন্ট’, এবং পাশাখা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর সেখানে সকাল থেকে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী। একইভাবে বারবিশা অসম সীমান্ত এলাকাতেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, সীমান্তে প্রবেশ বা প্রস্থান করা প্রতিটি গাড়িতে চলছে তল্লাশি অভিযান। ট্রানজিট যাত্রীদের পরিচয়পত্র ও নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তি বা বস্তু চোখে পড়লেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বছরের অন্যান্য সময়ও সীমান্ত এলাকায় রুটিন চেকিং চলে, তবে দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির বিস্ফোরণের জায়গা থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করল ফরেনসিক টিম
নিরাপত্তা বাড়াতে গোটা জেলাতেই মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী, সঙ্গে রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি দলও। সীমান্ত এলাকার হোটেল, লজ, ট্রানজিট পয়েন্ট এবং পরিবহন রুটেও নজর রাখা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিশেষ নজরদারি অভিযান অব্যাহত থাকবে। ফলে বর্তমানে ভুটান ও অসম সীমান্তজুড়ে তৈরি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ও নিরাপত্তার বলয়।
অপরদিকে, দিল্লি বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার সকল রেল স্টেশন চত্বরকেও। হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি নিকট হাসিমারা রেল স্টেশনে আরপিএফের তরফে চলছে কড়া তল্লাশি। দিল্লিগামী ট্রেন সহ অন্যান্য ট্রেনে চলছে এই তল্লাশি।পাশাপাশি, স্টেশনে আসা যাত্রী ও স্টেশনে বাইরে আসা সাধারণ মানুষদেরও ধরে ধরে চলছে তল্লাশি। এছাড়া, দিল্লিগামী যাত্রীদের সচেতনও করেছেন আরপিএফ আধিকারিকরা।
দেখুন খবর:







