আলিপুরদুয়ার: বাঁধ নেই, ধীরে ধীরে চা বাগানের দিকে এগোচ্ছে নদী। ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে কয়েক হাজার চা গাছ। লাগাতার ভাঙনে ক্ষতিগ্ৰস্থ আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা। ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা এই এলাকার এক দিকে রয়েছে পানা ও অপর দিকে রয়েছে বাসরা নদী। প্রতিবছরই ভুটানের পাহাড়ি নদীর জল মিলিত হয় সেন্ট্রাল ডুয়ার্সের এই দুই নদীতে। ফলে বর্ষায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে এই দুই নদী। ভুটান পাহাড় থেকে আসা খরস্রোত বাসরা নদীর ভাঙনে এখন পর্যন্ত সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের ৮০ একরের বেশি জমি বাসরা নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। প্রচুর চা গাছও নদীর গর্ভে। এছাড়া বহু মানুষের ঘর যাওয়ার পথে, নদী তীরবর্তী এলাকায় অনেকে নিজেদের ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। যে কোনও সময় ভাঙনে বাসরা নদীর গর্ভে সমস্ত চলে যেতে পারে।
বাসিন্দাদের দাবি, এই বাসরা নদী ধীরে ধীরে চা বাগানের দিকেই এগোচ্ছে। ফলে ইতিমধ্যেই অনেক চা গাছ সহ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। ঘর হারানোর ভয়ে একাধিক শ্রমিক পরিবার। অবশেষে জমি বাঁচাতে অস্থায়ীভাবে বাঁধ তৈরির করলেও, তাতে সফলতা পাননি বাগান কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, নদীতে বাধা না থাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ হেক্টর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। শীঘ্র কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বেশ কয়েকটি শ্রমিক আবাসনও এই নদীর গ্রাসে চলে যাবে বলে আশঙ্কা বাগান কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীর রাতে জামাইয়ের হাতে খুন স্ত্রী, এলাকায় চাঞ্চল্য
এ বিষয়ে বাগানের ম্যানেজার শান্তনু বসু বলেন, নদী বাঁধ, সড়ক, পানীয় জল, দূষণ সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি পুরো বিষয়টি। আশা করি তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। বিপর্যয় মোকাবেলা স্ট্যাণ্ডিং কমিটির সদস্য ও আলিপুরদুয়ার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এলাকা পরিদর্শন করে জানান, খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিষয়টি বিধানসভায় তুলে ধরবো। তিনি আরও জানান, যেভাবে ভুটান থেকে আসা নদীগুলি এলাকা গ্রাস করছে আন্তজাতিক স্তরে ভারত-ভুটান যৌথ রিভার কমিশন করা খুবই জরুরি। এই বিষয়ে কালচিনি বিধায়ক বিশাল লামা জানান, বাসরা নদীর ভাঙন সমস্যা নিয়ে বিধানসভায় একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্ত সরকার এই বিষয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নিচ্ছে না।