বাঁকুড়া: শহরের বুকে কাটা হচ্ছে বড় বড় গাছ। কাঠগড়ায় বিষ্ণুপুর পুরসভা। গাছ কাটার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে দাবি বনদফতরের। পাল্টা পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম মেনেই কাটা হয়েছে। দুপক্ষের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, গাছ কাটার কোনও অনুমতি না নিয়ে বিষ্ণুপুর শহরে কেটে ফেলা হচ্ছে প্রাচীন তিনটি বড় বড় গাছ। এমন অভিযোগ সামনে এল বিষ্ণুপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি খবর পেয়ে গাছ কাটা আটকে দিল বনবিভাগ। কেন প্রাচীন গাছ কাটা হচ্ছে, তা অজানা এলাকার মানুষের কাছেও। প্রাচীন তিনটি গাছ কাটা নিয়ে বিষ্ণুপুরজুড়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে। তবে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ কাটার জন্য বনদফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুরি যাওয়া বহু মূল্যের কালী মূর্তি উদ্ধার শিবপুর থানার
বিষ্ণুপুর শহরের মহকুমাশাসক অফিস সংলগ্ন রবীন্দ্র স্ট্যাচু মোড়ে শুক্রবার সকালে কেটে ফেলা হয় বড় প্রাচীন তিনটি গাছ। কেন কাটা হল গাছ? কী কারণে কাটা হল, তা অবশ্য অজানা এলাকার মানুষের কাছে। এই প্রাচীন গাছগুলি কাটা ঠিক হয়নি বলেও দাবি করেন এলাকার মানুষ। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয় বনবিভাগ। কোনও অনুমতি ছাড়াই এই গাছগুলি কাটা হয়েছে বলে দাবি করেন বনদফতরের আধিকারিকরা।
এদিকে যিঁনি গাছ কাটার বরাত পেয়েছিলেন তাঁর দাবি, বিষ্ণুপুর পুরসভার নির্দেশে তিনি তিনটা গাছ কেটেছেন। দুটি নিম এবং একটি শিরিশ গাছ কেটেছেন। এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিষ্ণুপুর পুরসভা গাছ কাটা নিয়ে বিতর্কে জড়াল। বিষ্ণুপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ কাটার জন্য বনদফতরের কাছে প্রয়োজনীয় আবেদন করা হয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: