কৃষ্ণনগর: ভোট মিটতেই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র জয়ী হয়েছেন। কিন্তু কৃষ্ণনগর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভাতে তৃণমূলের হার হয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় ২০১৯ সালে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায় তৃণমূল ৭ হাজরের কিছু ভোটে হেরেছিলেন। অথচ ২০২১ এর বিধানসভায় ৯ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন। আবার ২০২৪ এ সেই কেন্দ্রেই ৮ হাজার ৭০০ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। এমনকী কৃষ্ণনগর শহরের পুর এলাকায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। তারই মাঝে এবার তৃণমূল পুরসভার পরিচালিত একটি ক্যাফে এবং একটি শিশু উদ্যান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অপর এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
কাউন্সিলরের অভিযোগ, পুরসভার চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনও টেন্ডার প্রকাশ না করেই ওই ক্যাফে লিজ দিয়ে দিয়েছেন। সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই ক্যাফেটি ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা দাবি চেয়ারম্যানের। জানা যায়, কৃষ্ণনগর পুরসভার অন্তর্গত জলঙ্গী নদী কদমতলা ঘাটের পাশে একটি ক্যাফে রয়েছে এবং তার পাশে একটি পার্কও রয়েছে। হঠাৎই ওই এলাকার কাউন্সিলর পলাশ দাশ ওই ক্যাফেটিকে তালা বন্ধ করে দেন। উল্লেখ্য, পুরসভার পূর্ত দফতরের দায়িত্বে থাকা শিশির কর্মকারের সঙ্গে কৃষ্ণনগর পুরসভার কাউন্সিলর রিতা দাসের আগে থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল। এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও নতুনভাবে সামনে এল।
শিশির ঘনিষ্ঠ পলাশ সম্পূর্ণ বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই ক্যাফেটি বন্ধ করে দেন। প্রশ্ন উঠছে, পুরসভা পরিচালিত একটি ক্যাফে কী করে গায়ের জোর দেখিয়ে তালা বন্ধ করে রাখতে পারে ওই কাউন্সিলর। ওই কাউন্সিলরের দাবি, চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেআইনিভাবে দড়পাত্র পাইয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে চেয়ারম্যান রিতার দাবি, সম্পূর্ণ আইন মেনেই কাজ করা হয়েছে। তবে কেউ যদি নিয়ম নিজের হাতে তুলে নেন, তাহলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নিট কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে ডিএসওর বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার বিধাননগর
অন্যদিকে, লোকসভার ফলাফল মিটতে না মিরতেই নতুন করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যথেষ্টই বিড়ম্বনায় ফেলেছে তৃণমূলকে। এর আগে থেকেই কৃষ্ণনগর পুরসভা তৃণমূলের দখলে থাকলেও তাদের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর পুরসভায় তৃণমূলের থেকে অনেকটা এগিয়েছিল বিজেপি। যদিও নদিয়া উত্তর জেলা প্রাক্তন সভাপতি জয়ন্ত সাহা বলেন, গোষ্ঠীকন্দলের কোনও ব্যাপারই নেই। তাঁর দাবি, আগামী বিধানসভায় সবকটি আসনই তৃণমূল পাবে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: