চন্দ্রকোনা: সমবায় নির্বাচনে শাসক দল প্রার্থী পেল না। তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টর,আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মৌলা পরমানন্দপুর সমবায় সমিতির ভোটকে কেন্দ্র করে পড়ল পোস্টার। সমবায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি কোনও বিরোধী দল। তবুও প্রার্থী খুঁজে পেল না শাসকদল তৃণমূল। ছটি আসনের নির্বাচনে ১১ জন মনোনয়নপত্র তুললেও, শেষ দিন পর্যন্ত জমা পড়ল মাত্র দুইটি মনোনয়নপত্র। আবারও সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
জানা গিয়েছে, এই সমবায় সমিতি দুর্নীতির কারণে পূর্বতন ম্যানেজার মধুসূদন নায়েকের বিরুদ্ধে ২৯ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং তা প্রমাণিত হয়। মধুসূদন দু’বছর জেল খাটে। তারপর থেকেই সমবায় সমিতির বহু গ্রাহক -আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। মুখ থুবড়ে পড়ে ওই সমবায় সমিতি। নিজেদের সঞ্চিত অর্থ সমবায় সমিতিতে জমা রেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষজন। দীর্ঘদিন পর আবার সেই সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
জানা যায়, এলাকারই এক ব্যক্তি উপানন্দ ঘোষ এবারের তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। আর এতেই বাঁধে গণ্ডগোল। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, উপানন্দ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তবু অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মফু সরকার তাঁকে মনোনয়নপত্র জমা করিয়েছেন। পাল্টা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি মফু সরকার তৃণমূলে অঞ্চল যুব সভাপতি গৌতম মল্লিকের নামেই এই নির্বাচন ভন্ডুলের করার অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নয়, বার্তা স্কুল শিক্ষা দফতরের
এ বিষয়ে উপানন্দ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি এলাকাতেই নেই। তবে তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আর এতেই কিছু তৃণমূলের কর্মী ভয়ে এইসব করছে। অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মফু সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বেশিরভাগ কর্মীদেরই ক্ষোভ রয়েছে। তবে এই ঘটনায় মুখে কুলুপ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের।
অন্যদিকে এই সমবায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি তারা জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছেন। ঘটনা যাই হোক, সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে একবার।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: