জলপাইগুড়ি: সরকারি জমি দখল করে তৈরি হয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। ধূপগুড়ি ব্লকের একাধিক এলাকা থেকে এমন অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে জেলা পরিষদের জায়গায় গজিয়ে উঠেছে এরকম পার্টি অফিস। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া পঞ্চায়েতের কদমতলা বাজার তৃণমূলের জেলা পরিষদের জমির দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরি করার অভিযোগ। এই বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ ওঠার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও দলীয় নেতৃত্বের তরফে ওই কার্যালয় তৈরিতে দলের কোনও অনুমোদন নেই বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে ওই কার্যালয়কে ঘিরে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসকদলের নেতাদের মদতে কার্যালয়ের ঠিক উল্টো দিকে একটি গুমটি ঘরে তৈরি হচ্ছে মদ। যার জেরে ওই এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেই অভিযোগ। ডাউকিমারী ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, তৃণমূলের কার্যালয়টি জেলা পরিষদের জমিতে রয়েছে। তবে সেটি বৈধ না অবৈধভাবে রয়েছে সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা এখানে প্রচুর মদের দোকান তৈরি হয়ে গিয়েছে। যেগুলি প্রশাসনের দেখা উচিত। কেননা বাজারে মহিলা থেকে শুরু করে বাচ্চারা সকলেই আসে।
আরও পড়ুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের ইডির তলব
এ ব্যাপারে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে পালাবদলের পরে এইভাবে সরকারি জমি দখল করে দলীয় কার্যালয়ে নির্মাণ করা একটা ট্রাডিশনে পরিণত হয়েছে। দুঃখের বিষয় সরকারি জমিগুলি যাদের রক্ষা করার কথা, তারা সেই কাজ করছে না। আমরা আগামী দিনে এই নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। সেইসঙ্গে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিনের আলোতে নেতাদের মদতে চলছে মদ বিক্রি। এই সমস্ত কিছু কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এ বিষয়ে ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দীপু রায় বলেন, ডাউকিমারী বাজার এলাকায় যে দলীয় কার্যালয়ের কথা বলা হচ্ছে সেটা তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্নের। নতুন করে কোনও কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে কি না আমার জানা নেই। পাশাপাশি প্রকাশ্য দিবালোকে যেভাবে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগ উঠছে সেটা বন্ধ করার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। এই সমস্ত বেআইনি কাজ আমরা কোনওভাবেই বরদাস্ত করি না।