বম্বে: বারান্দা থেকে শিস (Whistling) দেওয়া আর কিছু শব্দ করা মানেই যৌন হেনস্তা নয়। এই যুক্তি দেখিয়ে বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ তিনজনের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল। বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং বিচারপতি আভা ওয়াঘাসের বেঞ্চ ওই আবেদন মঞ্জুর করে।
এর আগে নেওয়াসার দায়রা বিচারক (Judge) আমেদাবাদের বাসিন্দা লক্ষ্মণ, যোগেশ এবং সবিতা পাণ্ডব নামে তিন জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। তাদের প্রতিবেশী এক মহিলা (Women) অভিযোগ করেছিলেন, যোগেশ তাঁর দিকে তাকিয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি করত। তাতে তাঁর মর্যাদাহানি হয়। তিনি বিষয়টি উপেক্ষা করেই চলছিলেন, কিন্তু যোগেশ নিজের বাড়ি থেকে মোবাইলে তাঁর ছবিও তোলেন বলে মহিলার অভিযোগ। বিষয়টি নজরে পড়ে তাঁর স্বামীর। তিনি যোগেশের বিরুদ্ধে তাঁর বাড়িওয়ালার কাছে অভিযোগও করেন। কিন্তু বাড়িওয়ালা ব্যবস্থা নেননি। এমনটাই দাবি ওই মহিলার।
আরও পড়ুন: BBC Documentary Ban: বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে ভারতের সরাসরি নিন্দা করল না আমেরিকা
ওই মহিলার আরও অভিযোগ, গত বছরের মার্চ মাসে যোগেশ বাড়ির বারান্দা থেকে তাঁকে উদ্দেশ্য করে শিস দিতে থাকে, এমনকি বাসনকোসন বাজিয়ে নানা শব্দ করে। আদালতে তাঁর অভিযোগ, যোগেশদের বাড়ির সিসি টিভি ক্যামেরা মহিলার বাড়ির দিকে মুখ করে লাগানো হয়েছে। এতে তাঁদের সম্ভ্রমহানি হয়েছে। ওই মাসেই যোগেশরা তাঁর বাড়িতে পাথর ছোড়ে। প্রতিবাদ করলে জাত তুলে তাঁকে কটাক্ষ করা হয়।তিনি এসসি এসটি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এফআইআরে (FIR) । পুলিশ (Police) কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াতে তিনি আদালতের (Court) দ্বারস্থ হন।
যোগেশদের আইনজীবী দাবি করেন, ওই মহিলার পরিবার পাণ্ডবদের বাড়ি কেনার জন্যই নানা মনগড়া অভিযোগ করেন। বাড়িওয়ালা বাড়ি বিক্রি করতে রাজি হননি বলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর বেঞ্চ বলে, শিস (Whistling) দেওয়া বা শব্দ করা মানেই মহিলাদের যৌন হেনস্তা করা নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওই ধরনের অভিযোগ আনার পিছনে অন্য অভিপ্রায় রয়েছে। বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে।