কলকাতা: ক্লান্ত-অবসন্ন। চোখ-মুখে তীব্র উৎকণ্ঠা। আগাগোড়া দাপুটে মানুষের সেই তেজটাই যেন উধাও! গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ আদালতে। বিচারক ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে নিয়ে গাড়িতে কলকাতার নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মাঝে ধনেখালিতে যানজটে আটকে যায় কনভয়। ৫০ মিনিট আটকে থাকার পর স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় যানজট কাটিয়ে রওনা দেয় কনভয়।
শেষ পর্যন্ত রাত প্রায় পৌনে তিনটের নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। যানজটে আটকে থাকার সময় অনুব্রতকে নানা প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। কিন্তু এদিন কেষ্ট মুখ খোলেননি। পাশে বসা সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে অবশ্য দু-একবার কথা বলেন কেষ্ট। বাকি সময়টা উদাস দৃষ্টিতে কখনও চেয়েছিলেন সামনের দিকে, কখনও জানলার দিকে। সাংবাদিকদের লাগাতার প্রশ্ন শুনে এক বার হেসেও ফেলেন। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা নিজাম প্যালেসেও সাংবাদিকদের প্রশ্নমালার সামনে নীরব ছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই সিবিআই অফিসে ঢোকেন তিনি।
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে কটাক্ষ করে নানুরের তৃণমূল নেতা শেখ কাজলের ফেসবুক পোস্ট
সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকাল থেকেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রতকে জেরা শুরু করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ৪৮ ঘণ্টা পর পর আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আসানসোল বিশেষ আদালতের তরফে সেনা হাসপাতালের কার্ডিওলজির এমডি, এমডি মেডিসিন এবং এমএসকে নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন তাঁর দুই আইনজীবী। অনুব্রতর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারে সিবিআই।