কলকাতা: বালিগঞ্জে ডিপিএসসির সামনে অনশনরত এক চাকরিপ্রার্থী (Job Candidate) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। টানা ৪৫ ঘণ্টা ধরে অনশন (Hunger Strike) চালিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাত প্রার্থী অনশন করছেন। ২০০৯ সালে তাঁরা প্রাথমিকের টেটে (TET) উত্তীর্ণ হন। ডিপিএসসির অফিস বালিগঞ্জ থেকে ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, নিয়োগপত্র না দেওয়া পর্যন্ত অফিস সরানো চলবে না। সোমবার রাতে মালপত্র বোঝাই একটি ম্যাটাডর আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। রাত পর্যন্ত সেই গাড়ি আটকে থাকে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার অসুস্থ অনশনকারীর নাম সঙ্গীতা দাস।
এদিকে এদিনও প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি মামলার (Corruption Case) শুনানি ছিল। ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন জানলে আদালত চাকরি বাতিল করে দেবে। তাঁর আরও হুঁশিয়ারি (Warning), এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০ হাজার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র-চৈতালির বাড়িতে তালা, কম্বল-কাণ্ডে খালি হাতে ফিরল পুলিশ
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ হয়েছিল। সেই নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। মূল মামলায় অভিযোগ, প্যানেলভুক্ত ৮২৪ জনের নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম রয়েছে। তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা হয়। আদালত প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সেই প্যানেল প্রকাশিত হয়নি। এরপর মামলাকারীরা ১৩৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকায় দেখা গিয়েছে, তাঁরা মূল প্যানেলভুক্তদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন।
আদালত নির্দেশ দেয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ খতিয়ে দেখবে, তাদের তালিকার সঙ্গে মামলাকারীদের তালিকা মিলছে কি না। আগামী ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
আদালত সূত্রের খবর, মূলত দুই ২৪ পরগনা এবং উত্তর দিনাজপুরের নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ। মামলাকারীদের অভিযোগ, ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। মামলাকারী উল্লেখ করেন, নদিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার একটি অডিয়ো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে তাপস স্বীকার করেন, চাকরি করে দেওয়ার জন্য তিনি প্রচুর লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।