কলকাতা: গরু পাচার মামলায় ফের ইডির (ED) দফতরে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। সূত্রের খবর, সোমবার দিল্লি (Delhi) যাননি তিনি। এই নিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে দু'বার ইডির তলব এড়ালেন সুকন্যা। সকাল ১১টায় তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইডি দফতরে এসে পৌঁছননি কেষ্টকন্যা। তার পর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা হলে কি দ্বিতীয়বারও ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা?
গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইডি (ED)। সোমবারই সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।মঙ্গলবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে। গত বুধবার সুকন্যার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন তদন্তকারীদের মুখোমুখি হননি তিনি। আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে তিনি আর কটা দিন সময় চেয়েছিলেন। এর পরেই আবার নোটিস পাঠিয়ে সোমবার সুকন্যাকে ডেকে পাঠায় ইডি। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১২টা বেজে যাওয়ার পরেও ইডি দফতরে গরহাজির ছিলেন সুকন্যা।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal | মণীশের জেল হেফাজতের নির্দেশ, ঠিকানা কি তিহার জেল?
শুধু সুকন্যা নয়, দিল্লি অফিসে তলব করা হয়েছে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ মলয় পিট, কৃপাময় ঘোষ, সঞ্জীব মজুমদার, সিদ্ধার্থ মণ্ডলকেও। তবে দিনভর জল্পনা ছিল সুকন্যাকে ঘিরে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এর পর কি সুকন্যার হালও বাবার মতোই হবে? রবিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তাঁর বাবাও দিল্লি যেতে চাইছিলেন না। বাবারই পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন মেয়ে। এরপর ইডি জোর করে ধরে নিয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ইডির অফিসাররা সুকন্যা ও কেষ্টকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান, তার অন্যতম একটি কারণ, এর আগে সুকন্যা নিজের বয়ানে সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর নামে থাকা সম্পত্তি, চালকল, টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর বাবা সব জানেন বলে জানিয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, সেই বয়ান কতটা সত্যি ছিল তা জানার জন্যই এই মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের উপর জোর দিতে চাইছে ইডি।
কিন্তু সুকন্যা ইডির মুখোমুখি না হলে, বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা বিলম্বিত হতে পারে। কারণ, মঙ্গলবার অনুব্রতকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হবে। এ বার তৃণমূল নেতার জেল হেফাজত হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তাই হয়, তা হলে সুকন্যাকে জেলে নিয়ে গিয়ে তাঁর সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা লম্বা প্রক্রিয়ার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
শেয়ার করুন