কলকাতা: কংগ্রেস আর বিজেপি কেন একা জাতীয় দল থাকবে, প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা দাবি করেন জাতীয় স্তরে সব বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ (Opposition Unity) আছে। তবে রাজ্যস্তরে সব দলেরই কিছু রাজনৈতিক বাধ্য বাধকতা রয়েছে।
সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বেদম চটেছে কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের (Congress) নেতারা এরজন্য তৃণমূলকে তুলোধোনা করছেনই, মঙ্গলবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক এবং মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে তৃণমূলকে বিঁধেছেন। টুইটে তিনি লেখেন, তৃণমূলের এই প্রলোভন জাতীয়স্তরে বিরোধী ঐক্যে অন্তরায় হয়ে উঠবে। এতে বিজেপির হাত শক্ত হবে। এর আগে গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরাতেও একই ঘটনা ঘটেছে।
জয়রামের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে নবান্নে মমতা বলেন, আমরা শুধু মেঘালয় এবং গোয়ায় লড়াই করেছি। কংগ্রেস তো মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় প্রভৃতি রাজ্যে লড়াই করে। আমরা তো সেখানে ভাগ বসাতে যাচ্ছি না। কাজেই কে কী বলল, তা নিয়ে আমি মাথা ঘমাতে চাই না। বিজেপি আর কংগ্রেস কি একা জাতীয় দল বলে গণ্য হবে? আমরা যদি কোনও কোনও রাজ্যে চার-পাঁচটা আসনে লড়াই করি বা আসন পাই, তাতে আপত্তি কোথায়?
মমতার মতে, আঞ্চলিক দলগুলির বৈঠক দিল্লিতে না হয়ে বিভিন্ন রাজ্যে হতে পারে। এবার পাটনায় হচ্ছে, পরে অন্য রাজ্যেও হয়ত হবে। প্রসঙ্গত, আগামী ১২ জুন পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির মেগা বৈঠক হওয়ার কথা। মূলত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং মমতার উদ্যোগেই ওই বৈঠক হতে চলেছে। কিন্তু বিরোধী জোটের সেই বৈঠকের আগেই রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ককে তৃণমূল ছিনিয়ে নেওয়ায় বিরোধী ঐক্যের তাল কিছুটা কাটল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জয়রাম রমেশের টুইটে সেই তাল কাটার অভিযোগ স্পষ্ট হয়েই ধরা পড়েছে।