কলকাতা: সাধারণত দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে দলের সদর দফতরে আমিষ ঢোকে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ-জে পি নাড্ডারা সকলেই নিরামিষাশী। তবে তাঁদের দলেরই নেতা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর আবার প্রতিদিন ডিম না হলে চলে না। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বিকেল ৫টা নাগাদ সেদ্ধ ডিম খান মনসুখ মাণ্ডব্য। তাও একটা-দুটো নয়, নিয়ম করে রোজ চারটে করে ডিম খান তিনি। দলের কাজে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বিকেলে সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির নতুন পার্টি অফিসে আসেন তিনি। বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও সারেন মনসুখ। বিকেল ৫টার আগেই নাকি তিনি দলের কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর কিন্তু ঠিক পাঁচটার সময় চারটে ফুল বয়েলড ডিম চাই।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটা বড় অংশ নিরামিষাশী হলেও বাংলার দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মতো নেতাদের প্রত্যেকেই আমিষ খান। শুভেন্দু নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি ইলিশ মাছ বড়ই ভালোবাসেন। একসময় প্রিয় ছিল খাসির মাংসও। কিন্তু এখন কোলেস্টেরলের জন্য খান না। অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই মাছ, মাংস, ডিম খান। তাই সল্টলেকের পার্টি অফিসের ক্যান্টিনে ডিম থাকেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নির্দেশ আসতেই ক্যান্টিনে খবর দেওয়া হয়। দেখা যায়, ওই দিন ক্যান্টিনে ডিম বাড়ন্ত। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আবদার বলে কথা! ছোটাছুটি পড়ে যায় ডিম জোগাড় করতে।
আরও পড়ুন: Brij Bhushan Sharan Singh | সাক্ষী-বিনেশ-বজরংদের পদক বিসর্জন নিয়ে কী বললেন অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ
জানা গিয়েছে, এরপর সল্টলেকের একটি স্ট্রিট ফুডের দোকান থেকে চারটে ডিম সেদ্ধ করে আনানো হয়। কিন্তু তাড়াহুড়োর জেরে ডিমগুলি ঠিকঠাকভাবে সেদ্ধই হয়নি। কার্যত সেগুলি হাফ বয়েল হয়ে গিয়েছে। তা দেখে রীতিমতো বিরক্ত প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এরপর ফের সেদ্ধ করিয়ে ডিম আনানো হয়। তবে এবার আর চারটে নয়, ঝুঁকি না নিয়ে আটটা ডিম আনেন সেখানকার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। শেষমেশ চারটে ডিমই খেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।