Wednesday, October 8, 2025
HomeScrollFourth Pillar | মোদিজির ‘মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড’ ট্রাম্প সাহেব এখন এনিমি নম্বর...
Fourth Pillar

Fourth Pillar | মোদিজির ‘মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড’ ট্রাম্প সাহেব এখন এনিমি নম্বর ওয়ান

‘মাই ফ্রেন্ড পুতিন’ও কি একটা হাত বাড়িয়ে রেখেছেন পাকিস্তানের দিকে?

দুনিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা সারা দুনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্মদিনে বাছাই করা কিছুজনকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান, সেই শুভেচ্ছা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন, তাতে ‘মিঃ প্রাইম মিনিস্টার’ বা ‘ডিয়ার মিঃ প্রেসিডেন্ট’ ইত্যাদি লেখা থাকে। কিন্তু আমাদের হেঁহেঁ প্রধানমন্ত্রী কিন্তু ‘মাই ফ্রেন্ড’ ছাড়া কথাই বলেন না। গত পরশু রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান পুতিনের জন্মদিন ছিল, উনি লিখেছেন ‘মাই ফ্রেন্ড পুতিন’। এর আগে আমরা দেখেছি সে কী জড়াজড়ি, ‘মাই ডিয়ার দোলান্দ ট্রাম্প’। তো সেই ‘মাই ডিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প’-এর গ্রিন সিগন্যাল দেওয়ার ফলে মাঝারি পাল্লার সবচেয়ে উন্নত ‘আকাশ থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র পাবে পাকিস্তান। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার ইসলামাবাদকে এমনই খয়রাতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে! পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের পাক-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবেই ২০৩০ সালের মধ্যে এআইএম-১২০ডি-৩ মাঝারি পাল্লার ‘আকাশ থেকে আকাশ’ (এয়ার-টু-এয়ার) ক্ষেপণাস্ত্র (এএমআরএএএম) সিরিজের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ পাবে পাক সেনা। এবং খুব স্বাভাবিক যে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ভারতীয় উপমহাদেশে সামরিক শক্তির ভারসাম্যে পাল্লায় পাকিস্তানের অবস্থান অনেকটাই পোক্ত হবে। প্রায় চার দশক আগে আমেরিকা থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাওয়ার পরে এই প্রথম কোনও মার্কিন সামরিক সরঞ্জামের সবথেকে আধুনিক সংস্করণ পেতে চলেছে ইসলামাবাদ। কবে এসব ঠিক হল? সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সে দেশের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই ট্রাম্প এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আবার এদিকের ‘মাই ফ্রেন্ড পুতিন’ও কি একটা হাত বাড়িয়ে রেখেছেন পাকিস্তানের দিকে? পাকিস্তানকে ‘আরডি-৯৩এমএ’ নামের লড়াকু জেটের একটা ইঞ্জিন রাশিয়া সরবরাহ করতে চলেছে বলে খবর। চীনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক থ্রি’ নামের সাড়ে চার প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করছে ইসলামাবাদ। মস্কোর ইঞ্জিনকে নাকি ওই লড়াকু জেটে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের। এখনও পর্যন্ত এই খবর যে মিথ্যে তেমন কোনও কথা রাশিয়ার তরফ থেকে বলা হয়নি। কিন্তু আজ বরং আমরা ঐ ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ থেকে ‘এনিমি নম্বর ওয়ান’-এর যাত্রাপথটা বুঝে নিই।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ব্যক্তিগত স্তরে যে উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, যা ‘হাউডি মোদি’ বাণিজ্যের মতো ইভেন্টে আমরা দেখেছিলাম। তা যে এক ফাঁপা আওয়াজ ছিল, তা এখন পরিস্কার। ট্রাম্পের পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হল, অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা (Buy American, Hire American) এবং প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলির যেমন চীন, রাশিয়া, এবং ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে সীমিত করা। আর ট্রাম্প সাহেবের এই কঠোর নীতি প্রয়োগের সাফল্যের প্রধান কারণ ভারতের অর্থনীতির কয়েকটা মূল ক্ষেত্রে মার্কিন বাজারের উপর অত্যধিক নির্ভরতা। ভারতের আইটি রফতানি আয়ের ৬০ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ মার্কিন বাজারের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও, বস্ত্র, রত্ন ও গয়না মার্কিন বাজারের ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা রয়েছে। এটাই ভারতে এক ‘সুবিধাজনক লক্ষ্য’ (Convenient Target) করে তুলেছে, যার উপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিলে মার্কিন অর্থনীতির তুলনায় ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতি অনেক অনেক বেশি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানে যে, শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ভারতের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা সহজ। তাই আমেরিকা এক পরিকল্পিত আঘাত আনতে চাইছে। প্রথমটা হল সরাসরি অর্থনৈতিক আঘাত। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য শুল্ক (২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ), এইচ-১বি ভিসার নতুন নিয়ম এবং আউটসোর্সিং-এর ওপর ২৫ শতাংশ জরিমানা আরোপের প্রস্তাবিত আইন। আর দ্বিতীয়টা হল কৌশলগত সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি, চাবাহার বন্দরের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে অস্বাভাবিক কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আদানির জন্য আইনটাকেই বদলে দিলেন মোদিজি

মার্কিন বাণিজ্য চাপ শুরু হয়েছিল জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্সেস (GSP) সুবিধেগুলো ফিরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে। এই পদক্ষেপ ভারতের রফতানিকারকদের জন্য প্রথম গুরুতর আঘাত ছিল। জিএসপি প্রত্যাহারের কারণে ভারতের অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বড় সংস্থাগুলো প্রতিকূলতার মুখে দিনমজুরদের পরিবর্তে পেশাদার কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের উপার্জনকারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি কেবল বাণিজ্য প্রবাহকেই প্রভাবিত করেনি; এটা ভারতে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়িয়ে তোলারও এক চেষ্টা, যা হাই ইনকাম গ্রুপের মানুষজনকে অর্থনৈতিক লাভ এবং চাকরির গ্যারান্টি অনেকটাই নিশ্চিত করেছে। এর পাশাপাশি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হল। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং তাদের ডেরিভেটিভ সমেত প্রায় সমস্ত বাণিজ্য অংশীদারের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই বৃদ্ধিটা আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই ৫০ শতাংশ শুল্ক আসলে পূর্ববর্তী ২৫ শতাংশ ট্যারিফের উপরে আরও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ পেনাল্টি ট্যারিফ, যা বিশেষভাবে মার্কিন স্যাংশনের পরেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনার প্রতিক্রিয়ায় চাপানো হয়েছে। মানে ট্রাম্প সাহেব বাণিজ্য সুরক্ষার ইত্যাদির মধ্য দিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক জবরদস্তিতে ঢুকে পড়েছে, যা আদতে আমাদের স্বায়ত্তশাসন, সংপ্রভুতাকে ক্ষুণ্ণ করছে। ভারত যদি ছাড়যুক্ত রাশিয়ান তেল কেনা চালিয়ে যায়, তবে তাকে এই অর্থনৈতিক শাস্তির মূল্য দিতে হবে, এটাই হল ট্রাম্প সাহেবের হুমকি।

গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI)-বলছে, এই ৫০ শতাংশ ট্যারিফগুলো মোট ৬০.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারতীয় রফতানিকে প্রভাবিত করবে, যা মার্কিন বাজারে ভারতের মোট রপ্তানির ৬৬ শতাংশ। মার খাবে শ্রম-নিবিড় এই সেক্টরগুলো—লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানকে বিপন্ন করবে। জিটিআরআই-এর তথ্য বলছে, যেখানে মোট ৬০.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের রফতানির উপর ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপানো হয়েছে, সেখানে ৩.৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের নির্দিষ্ট ডেরিভেটিভ পণ্য ২৫ শতাংশ ট্যারিফের মুখে পড়বে এবং প্রায় ২৭.৬ বিলিয়ন ডলার (মোট রফতানির ৩০ শতাংশ) মূল্যের লোহা, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম কিন্তু যাত্রী বহনকারী যানবাহন (যেমন সেডান, SUV) শুল্কমুক্ত থাকবে। খেয়াল করে দেখলেই বোঝা যাবে, এর পিছনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আসলে শ্রম-নিবিড় সাধারণ গরীব মানুষের রোজগারের জায়গাতেই কোপ দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি অর্থনৈতিক আক্রমণের দ্বিতীয় বড় ক্ষেত্র হল ভারতের সার্ভিস সেক্টর এবং প্রযুক্তি শিল্প, যা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস। ট্রাম্প প্রশাসন H-1B ভিসার নিয়মে দু’টো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘোষণা করেছে: প্রথমত, নতুন ভিসার জন্য এক বড় অঙ্কের এককালীন এক লক্ষ ডলারের ফি চাপানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত, আগে যে রকম লটারি করে বেছে নেওয়া হত, তার বদলে বেতনের ভিত্তিতে বাছা হবে। মানে হাইলি স্কিল্ড, হাইলি পেইড আবেদনকারীদেরই জায়গা দেওয়া হবে, যার ফলে ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলোর ওপরে আমেরিকার সস্তা শ্রম নির্ভরতা কমবে। বার্কলেস রিপোর্ট হাতে এসেছে, তা বলছে নতুন H-1B নিয়মের ফলে ভারতের মোট রেমিট্যান্সে এই মুহুর্তেই বড় ক্ষতি হবে না, হলেও তা ৫ বিলিয়ন ডলারের নীচেই থাকবে, কিন্তু আগামী দিনেও এই নীতি বজাত থাকলে ক্রমশ কুঁকড়ে যাবে এই বিরাট আয়ের পথ। আরেকটা বড় হুমকি হল, প্রস্তাবিত ‘HIRE Act’ (Halting International Relocation of Employment Act)। এই আইনটা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে দেশের বাইরে কাজ আউটসোর্স করা থেকে বিরত রাখার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই আইনের মূল প্রস্তাবই হল, মার্কিন কোম্পানিগুলো বিদেশি পরিষেবা প্রদানকারীদের (প্রধানত ভারতীয় আইটি ও অ্যাকাউন্টিং ফার্ম) দেওয়া টাকার ওপর ২৫ শতাংশ আউটসোর্সিং কর চাপানো। এই ২৫ শতাংশ কর আউটসোর্সিংকে বিরাট ব্যয়বহুল করে তুলবে, যা ভারতের ২৫০ বিলিয়ন ডলার আইটি এবং আউটসোর্সিং শিল্পকে এক চরম হুমকির মুখে ফেলবে। H-1B পরিবর্তনগুলি কর্মীদের মোবিলিটি এবং যোগানকে আক্রমণ করবে। অন্যদিকে HIRE Act সরাসরি চুক্তির ব্যয় আর আয়ের রাস্তাটাকেই বন্ধ করে দেওয়ার দু’টো নীতি একসঙ্গে ভারতীয় আইটি শিল্পের উপর একটা সাঁড়াশির চাপ তৈরি করেছে। যা সাফ বলে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র তার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে রক্ষা করছে না, বরং একটা কৌশলগত অর্থনৈতিক যুদ্ধ পরিচালনা করছে। ভারতের অর্থনীতির অতীত এবং ভবিষ্যৎ স্তম্ভে একই সময়ে আঘাত হেনে অর্থনৈতিক ক্ষতিকে আরও গভীর, আরও সুদুরপ্রসারী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর উপরে দেখুন ভারত চাবাহার বন্দর প্রকল্পের ব্যাপারে ২০২৩-এ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার থেকে অব্যাহতি পেয়েছিল, সেটা প্রত্যাহার করা হল। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ মেয়াদ পার হওয়ার পরেই আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। যার ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুললোকে ৪৫ দিনের মধ্যে চাবাহার থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে, নাহলে সেই সব সম্পত্তির দখল নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চাবাহার বন্দর ছিল মধ্য এশিয়া এবং আফগানিস্তানে প্রবেশের জন্য ভারতের গুরুত্বপূর্ণ করিডোর, যা পাকিস্তানকে এড়িয়ে যেতে সাহায্য করত এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করত। এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের কৌশলগত স্বার্থের উপর মারাত্মক আঘাত ডেকে আনবে। আসলে যত দিন যাচ্ছে তত এই ট্রাম্প সাহেব আরও বেশি বেশি করে বুঝিয়ে দিতে চাইছে যে, আগের মত মাথা হেঁট করেই থাকতে হবে নাহলে এই চাপ আরও বাড়ানো হবে।

কিন্তু এক স্বাধীন দেশ সেই কথা মানবে কেন? মানার প্রশ্নই নেই, কিন্তু দুটো কারণে এই আলোচনা। (১) এই সমস্ত কিছুই আদতে এক অপরিণামদর্শী প্রধানমন্ত্রীর হেঁহেঁ রাজনীতির ফল। (২) বাইরে ৫৬ ইঞ্চির কথা বলা আদতে মোদিজির মতো এক দুর্বল প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ‘মাই ডিয়ার ফ্রেন্ড দোনাল্ড ট্রাম্প’, ‘মাই ফ্রেন্ড পুতিন’, ‘মাই ফ্রেন্ড জর্জিয়া মেলোনি’র বাইরে বেরিয়ে এসে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে, ফড়ে দালাল পুঁজির লোকজনকে সরাতে হবে আর দেশের বেশিরভাগ খেটে খাওয়া আম আদমির উপরে ভরসা রাখতে হবে, যারা আদতে দেশ চালায়, যারা দেশের অর্থনীতি গড়ে তোলে পাহারা দেয়, কোনও আদানি, আম্বানি সন্তান তো সিয়াচীনে প্রহরায় আছে বলে আমার তো জানা নেই।

Read More

Latest News