Sunday, September 7, 2025
HomeScrollFourth Pillar | এবারে বিজেপির প্রবীণ নেতাও প্রকাশ্যেই নেমে পড়লেন মোদিজির বিরুদ্ধে

Fourth Pillar | এবারে বিজেপির প্রবীণ নেতাও প্রকাশ্যেই নেমে পড়লেন মোদিজির বিরুদ্ধে

আদর্শ ভুলে রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য 'নয়া উদারবাদী' অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছে বিজেপি

হঠাৎ এতদিন এক নীরব এক কণ্ঠের সোচ্চার প্রতিবাদ শোনা গেল। বিজেপির প্রবীণ নেতা ও দলের ‘মার্গদর্শক মণ্ডল’-এর অন্যতম সদস্য মুরলী মনোহর জোশি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং জনগণের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান নিয়ে বহু সমস্যা আছে, যা এখনই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। কোথায় বললেন? আরএসএস-এর ডাকা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। মুরলী মনোহর জোশি একজন এলেবেলে সাধারণ রাজনীতিবিদ নন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এর প্রাক্তন সভাপতি, যিনি দীর্ঘকাল ধরে সংঘ পরিবারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তাঁর মতো একজন নেতার এমন এক পরিকল্পিত মঞ্চে সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক ন্যারেটিভগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলা রাজনৈতিক মহলে তৈরি করেছে হলচল। মনে আছেই সবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপির ক্ষমতা কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন করেছিলেন, ২০১৪ সালে মোদি সরকার গঠনের পর এবং অমিত শাহ দলের প্রধান হওয়ার পর লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর জোশির মতো প্রবীণ নেতাদের পার্লামেন্টারি বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের জন্য গঠন করা হয় এক নতুন কমিটি যার নাম দেওয়া হয় ‘মার্গদর্শক মণ্ডল’ বা ‘পথপ্রদর্শক কমিটি’। শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এই কমিটি ওনাদের কার্যত দলের খেলার মাঠের বাইরে, সাইডলাইনের ওপারে বসানোর এক পাকাপোক্ত বন্দোবস্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে জোশির এই মন্তব্য কেবল একজন কোণঠাসা নেতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটা এক সুপরিকল্পিত হস্তক্ষেপ। জোশি কোনও জনসভায় কথা বলেননি, বরং এক বন্ধ দরজার বৈঠকে ‘বিশেষ অতিথি’ ও ‘স্টার প্রেজেন্টার’ হিসেবে তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। এই বৈঠকটা আরএসএস-এর অর্থনীতি বিষয়ক শাখার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে সংঘ পরিবারের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কর্মরত ছটা সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৮০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের আয়োজক ছিলেন ভারতীয় মজদুর সংঘ (BMS)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক বি সুরেন্দ্রন, যিনি প্রায়শই মোদি সরকারের শ্রমিক নীতির বিরোধিতা করে থাকেন।

এই সমস্ত তথ্য থেকে একটা বিষয় তো স্পষ্ট হয়ে ওঠে— এই বৈঠকটা নিছক আলোচনা ছিল না; বরং এটা আরএসএস-এর পক্ষ থেকে বিজেপি সরকারের কাছে একটা পরিষ্কার, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই করা হয়েছে। এবং সেই বৈঠকে মুরলী মনোহর জোশি অমর্ত্য সেনকে কোট করেছেন, যদি কোনও জাতির অর্থনৈতিক সাফল্য কেবল আয়ের উপর ভিত্তি করে বিচার করা হয়, তবে সত্যিই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক লক্ষ্যগুলো অর্জিত হয় না। খুব পরিষ্কার কথা। প্রধানমন্ত্রী সমানে ৪ ট্রিলিয়ন, ৫ ট্রিলিয়ন ইকোনমির কথা বলেই চলেছেন যা আদতেই দেশের উন্নয়নের কোনও মাপকাঠিই হতে পারে না। তিনি প্রথমেই যা বলেছেন তা হল, ‘খুব খারাপ’ চেহারা নিচ্ছে মাথাপিছু আয় ও বৈষম্যের ফলে জন্ম নেওয়া অসন্তোষ, মুরলী মনোহর জোশি মূল বক্তব্যের পক্ষে কেবল কিছু পরিসংখ্যান এনে হাজির করেননি, বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক মডেলের উপর এক সুচিন্তিত, ওয়েল রিসার্চড, গভীর সমালোচনা আরএসএস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক-এর সামনে রেখেছেন। তিনি প্রায় ৭০টা স্লাইডের মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং মাথাপিছু আয়ের করুণ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি যে প্রধান তথ্যগুলো তুলে ধরেছেন, তা বিজেপির ‘তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি’র ন্যারেটিভের এক্কেবারে বিপরীত। তাঁর আলোচনাতে প্রথমেই এসেছে ১) আয় ও সম্পদের বৈষম্য: তিনি জানান যে ২০২১ সালে ভারতের জনসংখ্যার সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতে দেশের মোট সম্পদের ৬৫ শতাংশ কেন্দ্রীভূত ছিল। এই বিশাল বৈষম্য প্রমাণ করে যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সমাজের এক ছোট অংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ২) মাথাপিছু জিডিপি: তিনি উল্লেখ করেন যে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ছিল মাত্র ২,৮৭৮.৫ মার্কিন ডলার, যা জাপানের (৩৩,৯৫৬ মার্কিন ডলার) তুলনায় অনেক কম। মোদি সরকার যখন বিশ্বকে ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান দেখাচ্ছে, তখন জোশি এই তথ্য দিয়ে দেখিয়ে বোঝাচ্ছেন যে, দেশের বৃহৎ অর্থনীতির আকার দিয়ে জনগণের ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি বোঝা যায় না। ৩) ‘অবক্ষয়’ বা ‘Degrowth’-এর ধারণা: জোশি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর একক মনোযোগের সমালোচনা করেন এবং এর বদলে ‘অবক্ষয়’ (Degrowth) এর মতো এক ধারণার কথা বলেন, যার অর্থ হল জনসাধারণের স্বার্থ, জীবনযাত্রাকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি থেকে দূরে সরিয়ে যা করা হচ্ছে তা আসলে এক অবক্ষয়। ৪) কর্মসংস্থানের দুর্বলতা: জোশি বলেন, ভারতের ৪৩.৫ শতাংশ কর্মসংস্থান এখনও কৃষিক্ষেত্রে, যেখানে জাপানের মতো উন্নত দেশে তা মাত্র ৩ শতাংশ। এছাড়াও, ভারতে বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা খুবই কম, মাত্র ২৩.৯ শতাংশ, যেখানে পোল্যান্ডে এই হার ৮০.১ শতাংশ। এই তথ্যগুলো ভারতীয় অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। আসলে জোশির এই মন্তব্যগুলো শুধু অর্থনীতির কচকচে পরিসংখ্যান নয়, বরং আরএসএস-এর পুরনো ‘স্বদেশি’ ও ‘গ্রামোন্নয়ন’-এর দর্শনের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের প্রতিফলন।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আরএসএস নিয়ে নরেন্দ্র মোদির মিথ্যে কথাগুলো জেনে নিন

বিজেপি সরকার যখন বিশ্বকে ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান দেখাচ্ছে, তখন জোশি সমাজের নীচের দিকের মানুষের করুণ অবস্থা তুলে ধরে এক বিপরীত ন্যারেটিভ তৈরি করছেন। অমর্ত্য সেনকে কোট করে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, বিজেপি-র ‘বিকাশ’ মডেল এক নির্দিষ্ট মতাদর্শের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাঁর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বড় অর্থনীতির আকার দিয়ে জনগণের সার্বিক উন্নয়নকে একেবারেই বোঝা যায় না বরং সমাজের নিম্নবর্গীয়দের অবস্থা এখনও খুব খারাপ। আচ্ছা উনি যা বলছেন, তা কতটা সত্যি? মুরলী মনোহর জোশির বক্তব্যকে আন্তর্জাতিক ডেটা ও রিপোর্টের প্রেক্ষিতে দেখলে ভারতের অর্থনৈতিক বৈষম্যের ছবিটা পরিষ্কার হয়। ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যার সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ মানুষের হাতে মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ এবং মোট আয়ের ২২ শতাংশের বেশি কেন্দ্রীভূত ছিল (২০২২-২৩)। অন্যদিকে, দেশের অর্ধেক মানুষ বা সবচেয়ে গরিব ৫০ শতাংশ মানুষের আয় ছিল মোট আয়ের মাত্র ১৫ শতাংশ। অক্সফামের রিপোর্টেও বলা হয়েছে যে ভারতের ৯৮ জন ধনীতম ব্যক্তির সম্মিলিত সম্পদ দেশের ৫৫২ মিলিয়ন দরিদ্রতম মানুষের সম্পদের সমান। আর এই কথাগুলো সামনে আসার পরে খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন হল, মোদির বিরুদ্ধে আরএসএস ঘনিষ্ঠ প্রবীণদের অসন্তোষ: ফাটল নাকি এক মতাদর্শগত ফারাক? তাহলে জেনে নিন, মুরলী মনোহর জোশির এই বক্তব্য কেবল অর্থনৈতিক সমালোচনা হতেই পারে না, তাহলে তা এত তাড়াতাড়ি কিছু সাংবাদিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত না, আসলে এটা বিজেপি-র ভিতরে বিশেষ করে প্রবীণ নেতাদের এবং আরএসএস-এর সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন নেতাদের গভীর অসন্তোষের এক প্রতিফলন। লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর জোশির মতো প্রবীণ নেতাদের পার্লামেন্টারি বোর্ড থেকে সরিয়ে দিয়ে, তাঁদের ‘মার্গদর্শক মণ্ডল’, যা কার্যত এক নিষ্ক্রিয় কমিটিতে আটকে রেখে দলের মধ্যে সব ক্ষমতাকে নিজেদের হাতে নিতে চেয়েছিলেন মোদি–শাহ, আজ সময় বুঝে সেই নিষ্ক্রিয় সদস্যরাই বিদ্রোহের আগুন জ্বালছেন। মোহন ভাগবত যখন বিজেপি-আরএসএস সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন, তখন তিনি মাঝেমধ্যেই বলেন, “কোনও ঝগড়া নেই, তবে সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়। আমরা একে অপরকে শুধু পরামর্শ দিতে পারি, আর তাই দিচ্ছি।” এই মন্তব্যটা অন্তত এটা তো প্রমাণ করেই যে দুই পক্ষের মধ্যে মতাদর্শগত ফারাক রয়েছে। আজ সেই ফারাকটা বাইরে চলে আসছে, আর এই অসন্তোষ হঠাৎ করে তৈরি হয়নি। এটা এক দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এক দল এক নেতার চেহারা তৈরি করার বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

তাদের আদত কাঠামো আর আদর্শ ভুলেই বিজেপি কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ‘নয়া উদারবাদী’ অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছে, ‘বিশ্বায়ন’ এবং ‘মুক্তবাজার’-কে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা সংঘের মূল দর্শন ‘স্বদেশি’ বা ‘স্বনির্ভরতা’র পরিপন্থী। জোশির মতো প্রবীণ নেতাদের প্রকাশ্যে বা সংঘের মঞ্চে সরকারের সমালোচনা করা আদতে সেই ক্ষমতার দিকেই ছুড়ে দেওয়া এক চ্যালেঞ্জ। যখন মোদি সরকারের দাবি মোদি সরকার সাফল্যের শীর্ষে, ঠিক তখন সঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই ‘পরামর্শ’ দেওয়া আসলে ক্ষমতা এবং নীতিগত প্রভাব ফিরে পাওয়ারই চেষ্টা। এবং এই বিদ্রোহের সময়টা দেখুন। সবেমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপানো ৫০ শতাংশ শুল্ক ভারতের অর্থনীতির জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে এবং এই ঘটনাটা মোদি সরকারের অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক নীতির উপর গভীর প্রশ্ন তুলেছে। আবার সেই ধাক্কা সামলাতে চীন রাশিয়ার অক্ষে গিয়ে পড়াটাকেও সঙ্ঘ মেনে নিতে পারছে না। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI)-এর মতে, এই শুল্কের কারণে প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ক্ষতি তো কেবল আর্থিক নয়, বরং এটা কর্মসংস্থানের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভারতের রফতানিকারকদের অনেকেই তাদের অর্ডার বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা হারাচ্ছেন। মার্কিন শুল্কের জবাবে আরএসএস-এর সহযোগী সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ (SJM) নতুন করে ‘স্বদেশি সুরক্ষা এবং স্বাবলম্বন অভিযান’ শুরু করেছে। তারা বিদেশি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং ‘স্বদেশি’ পণ্য ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে। কিন্তু আজকের এই দুনিয়াতে তা কতটা কার্যকর হবে? তা নিয়ে সবার প্রশ্ন আছে, কিন্তু ধৈর্য ধরে সেই রাস্তা খুঁজে বের না করে চীন-রাশিয়ার অক্ষে গিয়ে ঝুলে পড়াটা আরএসএস-এর প্রবীণরা মেনে নিতে পারছেন না। তাই এই সংকটকে আরএসএস নিজেদের ‘স্বদেশি’ দর্শনকে আবার তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে দেখছে। যা প্রমাণ করে যে, আরএসএস এই সংকটের সময়কে কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে নিজেদের রাস্তায় ফিরিয়ে আনতে চাইছে। আর সেখানেই প্রশ্ন ভবিষ্যতের পথে: সংঘাতের সুর না নতুন বোঝাপড়া? মুরলী মনোহর জোশির বক্তব্য থেকে শুরু করে মার্কিন শুল্কের মতো বাহ্যিক চাপ, সবকিছুই আরএসএস এবং বিজেপির মধ্যেকার নতুন সমস্যার দিকে ইশারা করে বইকী। জোশির বক্তব্য কি শুধু এক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? নাকি এটা আরএসএস-এর পক্ষ থেকে বিজেপি সরকারের জন্য একটি সতর্কবার্তা? এটা কি ক্ষমতা কাঠামোতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও অস্পষ্ট। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত যে এটা কেবল একটা বিরোধ নয়, তারচেয়ে বেশি কিছু। বিজেপি যখন রাজনৈতিক ক্ষমতাকে দৃঢ় করতে, ধরে রাখতে বিশ্বায়নকে বেছে নিয়েছে, তখন আরএসএস তার মতাদর্শ রক্ষা করতে ‘স্বদেশি’র মতো পুরনো হাতিয়ারকে আবার শান দিচ্ছে। এই টানাপোড়েনই আগামী দিনে ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেবে, কারণ এই চলমান সংঘাতের সুর, যা শেষ পর্যন্ত এক নতুন বোঝাপড়ায় রূপান্তরিত হতেও পারে, বা আরও গভীরতর ফাটল তৈরি করতেই পারে।

Read More

Latest News