গৌতম চক্রবর্তী, মালদহ: মালদহ (Malda) ইংরেজবাজারে (English Bazar) তৃণমূল সহ সভাপতি (Trinamool Vice President) তথা পুরসভার কাউন্সিলার (Counsellor) দুলাল সরকার (Dulal Sarkar) খুনে ঘটনায় অতি সক্রিয় পুলিশ।
এই মামলায় দুই পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এবার অর্থমূল্যের পুরস্কার (Money) ঘোষণা করল পুলিশ। পলাতক দুই অভিযুক্তের নাম কৃষ্ণা রজক (রোহন) এবং বাবলু যাদব। এখন পর্যন্ত এই খুনের ঘটনাতে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত ২ জানুয়ারি মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার তাঁর নিজের কারখানায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন। প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁর দিকে বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে আসে দুষ্কৃতীরা। পালিয়ে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও প্রাণ দিতে হয় তাকে। কাউন্সিলারকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি করে দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা শূন্যে, বাতিল ১২৩টি উড়ান
কাউন্সিলারের মৃত্যু নিয়ে মালদহ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগে, দুলাল সরকারের আগে নিরাপত্তা ছিল। পরে সেই সিকিউরিটি তুলে নেওয়া হয়। আজ নিরাপত্তা থাকলে এমনভাবে প্রাণ যেত না দুলালের। মালদহ পুলিশের গাফিলতিকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার পর পরই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে তৎপর হয়। পরপর ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি গ্রেফতার হয় অমিত রজক ও অভিজিৎ ঘোষ। তাদের গ্রেফতারের পরেই পুলিশের হাতে আসে নয়া তথ্য।
সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে অমিতের বাড়ি ঝলঝলিয়াতে এলাকাতেই। দিদার মৃত্যুর পর থেকে অমিত সেখানে থাকে। দুলাল সরকার হত্যাকাণ্ডের দিন কয়েক আগে থেকেই বেশ কয়েকজন অমিতের ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের। কেউই তাঁদের চিনতেন না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতে বাইক চড়ে অমিতের বাড়িতে অপরিচিত যুবকরা রান্নাবান্না করত, খাওয়াদাওয়া হত। কেউই পরিচিত মুখ নয়। সেখানেই বসেই দুলাল সরকারকে হত্যার নীল নকশা তৈরি করেছিল।
দেখুন অন্য খবর-