পানিহাটি: কিছু লোকজন নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। অবশেষে তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পানিহাটির প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা নির্যাতিতা তরুণীর প্রতিবেশি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Case) নিয়ে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মায়ের নিশানায় বার বার পড়েছেন তিনি। সোমবার তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, এতদিন পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কথা মান্যতা দিয়ে মুখ খুলিনি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে বিস্ফোরক অভিযোগ বারবার সামনে আসছে তাই এবার মুখ খুলতে বাধ্য হলাম। আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার সবার আছে , তাই আমিও এবার সেই দিকেই হাঁটলাম। আমি দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিতা তরুনীর বাবা-মার সঙ্গে আমার দীর্ঘ বছরের পরিচয়, এমনকি নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গেও আমার মেয়ের মতো সম্পর্ক। তাদের দিয়ে যেভাবে বলানো হচ্ছে সেগুলো সব ডাহা মিথ্যে কথা। তাদের দিয়ে যারা বলাচ্ছেন তারা পাপ কাজ করছেন তারা নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা মাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বিপদের দিনে।
পানিহাটির প্রাক্তন কাউন্সিলর (Former councilor of Panihati) বলেন, নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মাকে দিয়ে যারা এই ধরনের কুৎসা অপপ্রচার করছেন বা মিথ্যে কথা বলাচ্ছেন, তাদের কাছে অনুরোধ করব এই ধরনের কাজ না করার জন্যই। নির্যাতিতা তরুণী পরিবার একাধিকবার অভিযোগ করেছে, নির্যাতিতার তরুণীর ময়নাতদন্ত তাদের সম্মতি ছাড়াই তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছিল। এমন কী দেহ জোর করে দাহ করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তরুণীর প্রতিবেশি সঞ্জীব বলেন, এই ঘটনা ঘটনার পর আমাকে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা ফোন করে জানিয়েছেন। আমি সোনা মাত্রই ছুটে এসেছি। তারপর থেকে ওনাদের ছাড়া আমি ১ ইঞ্চি কোন জায়গায় যায়নি। সেমিনার রুমে আমার সামনেই বা আমার সঙ্গে নির্মল ঘোষের কথা হয়। আর আরজি কর এ সেই সময় আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের এবং ডাক্তারদের কথার উপর ভিত্তি করে নির্ভরযোগ্য জায়গায় দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার পর তারা সার্টিফিকেট বলেই ওখান থেকে দেহ বাড়িতে এসেছে। যদি তারা মনে করত যে এই ময়নাতদন্তে সন্তুষ্ট নয় তাহলে দেহ আটকে রাখতে পারত। দেহ তরুণী সোদপুরের বাড়িতে প্রায় আড়াই ঘন্টার উপর দেহ ছিল, অনায়াসেই কিন্তু আটকে রাখা যেত। এই ধরনের কথাবার্তা গুলো নির্যাতিতা তরুণীর বাবা মা বলছেন – ৫-৬ মাস পর কিছু মানুষের আসা যাবার পরপর থেকে। তাহলে এগুলো আরো আগে কেন বলেননি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন সংগঠন
তিনি আরও বলেন, আমার ফোন তো নিয়েছিল, কই কোনো তথ্য প্রমাণ তো পায়নি তারা। প্রথমত বডি দাহ করার জন্য যে তাড়াহুড়োর কথা বারবার বলা হচ্ছে সেটাও মিথ্যে। বডি যে ওনারা দাহ করতে চান না এই বিষয় নিয়ে উনারা আমাকে কিছু বলেননি, তাহলে আমি বুঝবো কি করে? আর ওনারা আমাকে বিশ্বাসঘাতকতা করছি এই কথাটা বলছেন – আমি যদি বিশ্বাসঘাতক হতাম তাহলে নির্যাতিতা তরুনীর বাবার ফোন পাওয়ার পরই আমি ছুটে যেতাম না, আমি ঝাঁপিয়ে পড়তাম না, কেন দেহ দেখতে দেওয়া হচ্ছে না এই নিয়ে আমি আন্দোলনও করতাম না আর জি করের ভেতরে, আমি নিজে নিয়ে গিয়ে এফআইআর করিছি আর জিকরে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা মাকে নিয়ে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সামনে আসছে সেগুলো প্রমাণ করে দিক না, শুধু তাই নয় নির্যাতিতা তরুণীর বিচারের জন্য আমাকে যা যা করতে হবে আমি সব কিছুর জন্য প্রস্তুত।
অন্য খবর দেখুন