Saturday, September 20, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
Homeবিনোদনধর্মের বেড়া টপকে উস্তাদ রশিদ খানের বাড়িতে সম্প্রীতির প্রথম দুর্গোৎসব!
Ustad Rashi Khan

ধর্মের বেড়া টপকে উস্তাদ রশিদ খানের বাড়িতে সম্প্রীতির প্রথম দুর্গোৎসব!

কলকাতা: ধর্মের নামে বিভেদ যেখানে নিত্যদিনের ঘটনা, সেখানে সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ তৈরি হচ্ছে কলকাতার বুকে। প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী প্রয়াত উস্তাদ রশিদ খানের(Ustad Rashi Khan) বাড়িতে এবার প্রথমবার দুর্গাপুজোর(Durga Pujo) আয়োজন করা হয়েছে। চিরাচরিত ধর্মীয় সীমানা পেরিয়ে এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, মায়ের আরাধনার পথে ধর্ম কখনওই বাধা হতে পারে না। এই বিশেষ আয়োজন নিয়ে আগ্রহ স্বাভাবিকভাবেই তুঙ্গে। কেমন চলছে প্রস্তুতি! রশিদ খান পুত্র-আরমান রশিদ খান(Arman Rashi Khan) বাবার অবর্তমানে নিজের কাজেই তুলে নিয়েছেন সমস্ত দায়িত্ব। ‘আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হবে। আমার মায়ের ইচ্ছাতেই এর আগে বাড়িতে সরস্বতীপুজো, গণেশপুজো হয়েছে ।’

আরও পড়ুন:ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল প্রাঙ্গণে দুর্গারূপে ডোনা

আরমান আরো বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল বাড়িতে মায়ের পুজো করার। কিন্তু নানা কারণে এতদিন তা সম্ভব হয়নি। তবে এবার মায়ের আশীর্বাদে সেই ইচ্ছেপূরণ হতে চলেছে।’ উস্তাদ রশিদ খানের বাড়িতে যে ধর্মের কোনো ভেদাভেদ নেই, তা সবারই জানা। কিন্তু দুর্গাপূজা মানেই এক বিশাল আয়োজন। অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, একটি মুসলিম পরিবারে দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো আপত্তি হবে না তো? ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সমস্ত নিয়ম মেনেই দুর্গাপুজো হবে। সেইজন্যই আমাদের বাড়িতে এখন আমিষ রান্না হচ্ছে না। আমরা নিরামিষ খাচ্ছি। আর পাঁচজনের কাছে হয়তো মাতৃত্বের আরাধনার পথে ধর্ম অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস, ঈশ্বরের কোনও ধর্ম হয় না।

‘ ঈশ্বর তো বলেননি যে, মুসলিমরা দুর্গাপূজা করতে পারবেন না। কিংবা কোথাও লেখা নেই যে, হিন্দুরা মাজারে যেতে পারবেন না। মীরপুরের দরগায় তো মুসলিমদের চেয়ে বেশি হিন্দুরাই যান। সেখানে কাউকে তো প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে আটকানো হয় না। কোনো ধর্মেই এই ভেদাভেদের কথা বলা হয়নি। ভগবান এক, শুধু নাম আলাদা।’

জানা গেছে, নিয়ম মেনে দেবীকে অন্নভোগ দেওয়া হবে। রশিদ খানের বাড়ির ভেতরের মাঠেই সেজে উঠছে পুজোর মণ্ডপ। আরমান আরও বলেন, “যে সংস্কৃতি আমার ভালো লাগে, আমি সেটাই ধারণ করব। এতে কারো কিছু বলার নেই। তাই কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ আমি জানি, আমি কোনো ভুল কাজ করছি না। মা দুর্গার প্রতি ভালোবাসা আর হিন্দু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই এই পুজোর আয়োজন। হিন্দু ধর্ম-সংস্কৃতি থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমার মনে হয়, সব ধর্মের পাঠই সবার থাকা উচিত।”

দেখুন অন্য খবর:

 

Read More

Latest News